আগামী ১১ নভেম্বর কক্সবাজারে উদ্বোধন হবে দৃষ্টিনন্দন সেতু ।

৩২

 

মোহাম্মদ নুরুন্নবী ,উপজেলা প্রতিনিধি। পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিনিটের পথে কস্তুরাঘাটস্থ নামে পরিচিত কক্সবাজার শহর এবং খুরুশকুলের মুখোমুখি বাঁকখালী নদীর উপর বয়ে যাওয়া প্রত্যেকটি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ মহেশখালী যাতায়াত সড়ক পার হতে তারপরই চোখে পড়বে জেলার সবচেয়ে সুন্দর সেতু ও সড়ক। সেতু-সড়কের পাশেই বাঁকখালী নদী আর কয়েকটি জলাভুমি। যা ঘিরে বিচিত্রময় স্থান এবং পাখিদের বিচরণে মুখর পুরো এলাকা

খুরুশকুল এলাকাটিকে আগামীর দিনের কক্সবাজারের মধ্যে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হচ্ছে। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় অর্থনীতিতে ও খুরুশকুলের যানবাহনের দারুণ সম্ভাবনা দেখছে সংশ্লিষ্টরা।

সবার দৃষ্টিতে বলা যাচ্ছে , সেতুটি উদ্বোধন হলে এই সেতু আর বাঁকখালী নদীর প্রকৃতি ঘিরে হবে কক্সবাজারের নতুন পর্যটন স্থান।

কক্সবাজার পৌরবাসী ক্ষেত্রে যানবাহন থেকে শুরু করে খুরুশকুলের মানুষের সাথে আত্মার সম্পর্ক এই ব্রিজে সম্পৃক্ত হওয়ার অনিবার্য হবে।

আগামী ১১ নভেম্বর সেতুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে জেলার সর্বপ্রথম ব্যয়বহুল ও আধুনিক এই সেতু।

এ বিষয়ে কক্সবাজার খুরুশকুলের বর্তমান চেয়ারম্যান বলেন, খুরুশকুলের থেকে হাঁটতে আসতে জনসাধারণের যদিও এখন ৪০ মিনিট লাগে সেতু হলে সেটি কমে আসবে মাত্র ১০ মিনিট।

তিনি বলেন, সেতু ও তার আশপাশের এলাকা ঘিরে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে এলাকাবাসী। এছাড়াও আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ সরকারের বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পও রয়েছে এ এলাকায়।

খুরুশকুল সেতুটি নির্মাণের ফলে দূরত্ব যেমন কমেছে তেমনি এ অঞ্চলের শাক-সবজি  লবণ ও মাছসহ নানা জিনিস দ্রুত কক্সবাজার শহরে পৌঁছাতে পারবে। এছাড়াও পর্যটন বা অর্থনৈতিক অঞ্চলের যে স্বপ্ন দেখেছে খুরুশকুলবাসী তা বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বর্তমান সরকার।

এলজিইডি উল্লেখিত ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজে বিঘ্নতা ঘটাতে পারেনি কোনো কিছুই৷ এখন কাজ প্রায় শেষ। তাই সময়সীমার আগেই চূড়ান্ত করে বুঝিয়ে দিতে পারবে বলে সন্তুষ প্রকাশ করেছেন এলজিইডি কর্মকর্তারা।

৩শ ৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ এই সেতুতে ৩টি ৬৫ মিটার গভীর স্প্যান এবং ৫০ মিটারের ১০টি স্প্যান রয়েছে। এত দীর্ঘ সেতু এর আগে কখনও দেশীয় নকশায় তৈরি হয়নি বলে দাবি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের।

এলজিইডি কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন খান নিউজবাংলাকে বলেন, এলজিইডি সেতুর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিরলসভাবে কাজ করেছে। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজটি বুঝিয়ে দিতে পারার আশা করছি। দুইপাড়ে আরও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলমান।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের উদ্যোগের ফলে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবারকে খুরুশকুলের একটি আশ্রয়ন প্রকল্পে তৈরি করে সেখানে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ বসবাসরত আছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.