হাফিজুর রহমান, মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।মানিকগঞ্জে ঘিওর উপজেলার পুখুুরিয়া বাসস্ট্যান্ড হতে ছোট বৈন্যা বাবুলের বাড়ি পর্যন্ত নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মেসার্স আলেয়া এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে। নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করায় হতাশায় এলাকাবাসী।
অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এলজিইডির অধীনে ১ কোটি ১২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকার বরদ্দে পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় রাস্তা মেরামতের কাজটি পায় মেসার্স আলেয়া এন্টারপ্রাইজ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সরকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কাজটি শুরু হতে শেষ পর্যন্ত নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠাটি। এ নিয়ে এলাকাবাসী একাধিকবার ওই ঠিকাদারদেরকে বললেও কোন কর্নপাত না করে নিজের ইচ্ছামত রাস্তার কাজ করেন। মাঝে-মধ্যে এলজিইডির অফিস হতে লোক এসে নিন্মমানের সামগ্রী অপসারন করেন। আবার তার চলে যাওয়া মাত্রই শুরু করে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ।
নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় এলাকাবাসীর মাঝে হতাশার প্রভাব পড়েছে। তারা মনে করেন নিন্মমানের খোয়ার উপর যে পিচ ঢালাই করা হয়েছে তা বেশী দিন ব্যবহার করা যাবে না, সরকারি টাকাগুলোই জলে ফালানো গেল। সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক অসহযোগীতার কারনেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কোন রকমে কাজ শেষ করল আলেয়া এন্টারপ্রাইজ এর ঠিকাদার জিয়া।
পথচারী ইসলাম আলী শেখ বলেন, রাস্তাটিতে যে ইট দিয়ে খোয়া বানিয়ে ব্যবহার করেছে সেগুলো একেবারেই খারাপ ইটের খোয়া। ভাটা থেকে দুই ও তিন নম্বর ইটের খোয়া বানিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিকাদারের লোকজনদেরকে মানা করা সত্ত্বেও তারা খারাপ খোয়া ব্যবহার করেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সোনামিয়া সহ একাধিক স্থানীয়রা জানায় এক কথায় এই রাস্তায় পঁচা ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে।
আলেয়া এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার জিয়া এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর তিনি ফোনটি কেটে দেন। পূনরায় ফোন দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন আমি ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তার কাজ করেছি।
এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা প্রকৗশলী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আমরা ইতিপূর্বে ঠিকাদারের কাজের মধ্যে কিছু ভূল-ত্রুটি পেয়েছিলাম এবং কিছু সামগ্রী নিম্নমানের থাকার কারনে কয়েকবার ফেরতও দিয়েছি। এরপরেও যদি কোন সমস্যা থাকে আমরা ব্যবস্থা নিব।
