স্বাস্থ্য খাতের দূর্নীতি এক আলোচিত নাম ও সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম

৯৪

ইঞ্জি. জোবায়ের হোসেন জয়
দৈনিক সাহসী কন্ঠ, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি।

স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের কিন্তু এই সেক্টরের দুর্নীতি ও অনিয়মের করুণ চিত্র ব্যাপক ভাবে জনসমক্ষে প্রকাশ পেয়েছে এই করোনাভাইরাস মহামারির সময় থেকে। স্বাস্থ্য খাতের অসহায়ত্ব ও সিন্ডিকেট কারণের ভোগান্তি পেয়েছে ডাক্তার নার্স সহ সাধারণ মানুষ প্রতিটা ধাপে ধাপে।

স্বাস্থ্যখাত এখন গভীর জলের মাছ হয়েগেছে এদের ধরা ও যায় না ছোঁয়া ও যাচ্ছে না, কথায় আছে না গভীর জলের মাছ কে আপনি চাইলেও ধরতে পারবেন না। আর গভীর জলের মাছকে আপনি ধরতে হলে আপনাকে গভীর জলেই নামতে হবে তার সাথে আপনাকে পরিকল্পনা, কৌশল, সিদ্ধান্ত কার্যক্রম ও শাস্তির ব্যাবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

সরকার কি আসলেই সেই গভীর জলে নেমেছে নাকি একটু নেমে কাপড় ভিজে যাওয়াতে আবার উঠে চলে আসছে? নাকি কোন পরিকল্পনা ছাড়া নেমেছিল মানুষকে দেখানোর জন্য?

যা বেশ কিছু বড়সড় হাসপাতালে মাক্স, পিপিই কেলেঙ্কারির ও অনেক হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের অনিয়ম ও দূর্নীতির পরের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থায় বুঝা যাচ্ছে!!

যদিও সরকার বেশকিছু দিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজি ও সচিব করে তাদের নিজ দায়িত্ব থেকে অব্যহতি ও সচিবকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করেছে।

কিন্তু সরকার কি সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে পেয়েছে? স্বাস্থ্য খাতের মাফিয়া নামধারি মিঠু সহ তাদের পাহারাদার রাঘববোয়ালদের থামানো গিয়েছে? না যায় নি। কেন যায়নি? কারণ তাদের আপরাধের শাস্তি তাদেরকে দেওয়া হয়নি তাদের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর কোন ব্যাস্থা নেওয়া হয়নি।

নামে মাএ তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত বোর্ড করা হয়েছে সেই তদন্ত বোর্ডের কার্যক্রয় মনিটরিং করা কি হয়পছে? সঠিক তদন্ত করে সেটা কি জনসম্মুখে প্রচার করেছেন? না তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি।

গাড়িচালক সহ কয়েকটা পুটিমাছ গ্রেপ্তার করা হলেও তারা পূনরায় জামিন নিয়ে বের হয়ে পূনরায় তারা আগের কাজ গুলো করে যাচ্ছে বা তারা কোন নতুন জায়গায় বসে বসে জামায় আদরের দিনাতিপাত করছেন সাধারণ মানুষের আমগো চলে আর তাদের সহযোগি হিসেবে কাজ করছে নামধারি কিছু রাঘববোয়াল আমলা সরকারি কর্মকতা এই যদি হয়৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রণাল ও রাষ্ট্রের দূর্নীতির বিরুদ্ধে বিচার ব্যাস্থা তাহলে আমাদের ভবিষ্যত স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা ও সমাজিক বৈষম্য সৃষ্টি হয়ে তা হবে দেশে জন্য হবে হুমকি।

এই সরকারি কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেটের সীমাহীন অনিয়মের পরিপেক্ষিতে বেশ কিছু দিন আগের থেকে সনামধন্য প্রথম আলোর অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু রিপোর্ট করেছেন ক্রয় সংক্রান্ত, টিকা ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও, যা সকলের মাঝে প্রশংসা ও দূর্নীতি কর্মকর্তাদের মাঝে নতুন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।

তার পরিপ্রেক্ষিতে গত কাল এক অনাকাঙ্ক্ষিত গঠনার ফলে এই সাংবাদিকে তথ্য চুরির মামলা দিয়ে তাকে আজ জেল হজাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তাদের তার পরিবারে তথ্য মতে গত কাল তিনি করবোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ডোস দিতে স্বাস্থ্য গিয়েছিল এবং তিনি সুযোগে তিনি সে খান থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এর সাথে দেখা করতে
গিয়েছিল তখন তিনি উপস্থিত ছিলেন না সেটা ওনাকে অবহিত করেছিল তখন তাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল তার পর তিনি পএিকা পড়ার জন্য টেবিল থেকে পএিকা নিয়েছিল।

তখন ওনাকে দায়িত্বরত ব্যাক্তি ও সেই খানের কর্মকর্তা গণ ওনার উপর চড়াও হয়ে বৃত্তিহীন একটা অভিযোগ দেন তথ্য চুরির এবং পূর্বের রিপোর্ট নিয়েও তিনাকে শাসানো হয়েছিল ও ৫ঘন্টা ওনাকে বন্দি করে রাখার পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তিনি যা অমানবিক।

কিন্তু এই অসুস্থ মানুষ টাকে চিকিৎসা না দিয়ে তার নামে মামলা করে পুলিশে সোপর্দ করেছিল আর এই যদি হয় রাস্ট্রের একটা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অমানবিকতা ও ক্ষমতার দাপট তাহলে সাধারণ মানুষের কি হবে?

আরো খুবই দুঃখজনক বিষয় হলো কাজী জেবুন্নেছার
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তিনি একজন মহিলা তিনি সেই অবস্থায় এমন সনামধন্য মহিলা সাংবাদিকের গলাটিপে তিনার কন্ঠরোধ করে দিতেছেন যা ভিডিও ফুটেজে ভাইরাল হয়েছে আলরেডি এটা অমানবিকতা ও কতো বেশি ক্ষোভের ফল হতে পারে তা অবলোকন করা যায়৷

বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কাজী জেবুন্নেছার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে তিনার
কানাডায় ৩ টি বাড়ি, পুর্ব লন্ডনে ১টি, ঢাকায় ৪টি বাড়ী, গাজীপুরে ২১ বিঘা জমি আছে।
এছাড়া নামে-বেনামে রয়েছে ৮০ কোটি টাকার এফডিআর।এদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ গুলো তদন্ত করা হবে কিনা? নাকি আবার গুজব বলে চালিয়ে দেওয়া হবে, লুকিয়ে যাবে তিনিও অতল সাগরে নিচে?

সাংবাদিককে গলা ছেপে ধরে যদি তিনি কষ্ঠরোধ করে দিতে চায় এমন দূর্নীতি গ্রস্থ আমলা ও সরকারি কিছু নামধারি ব্যাক্তিরা আর সরকার যদি দূর্নীতি বিরুদ্ধে আরো ব্যাবস্থা ও শাস্তির মুখোমুখি না করে তাদের সাফাই গেয়ে যায় তাহলে আমরা বলে দিব আমাদের হাত কেটে মুখে সিল গালা করে দাও আমরাও কিছু লিখবোনা কিছু বলবনা, আমরা সাধারণ মানুষ শুধু চোখ দিয়ে দেখবো আর চোখের পানি পেলে যাবো অভিশাপ দিয়ে যাব !!

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.