মোংলায় ভুমিদস্যু মোশারফ বাহিনীর হুমকিতে নিজ মালিকানা ভুমি দখল পাচ্ছেন না মুক্তিযোদ্ধা

১৬

মোঃমাসুদ পারভেজ, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ- বাগেরহাটের মোংলায় মুক্তিযোদ্ধা ও অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের জায়গা দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে। তার মালিকানা ভুমির সিমানা করতে গেলে বাধা ও হুমকি ধামকি দিচ্ছে ওই ভুমি দস্যুরা।ওই চক্রের কবল থেকে রক্ষা পেতে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ,মোংলা থানা অফিসার ইনচার্জ ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বরাবর আবেদন করেছেন ১৯৭১ সালের রণাঙ্গনের বীর মুক্তি যোদ্ধা ও মোংলা পোট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শেখ সুলতান আহম্মেদ।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোংলা পৌরসভার শেহালাবুনিয়া মৌজায় চারটি দলিলে ৪৪.২৫শতক ভুমি খরিদ সুত্রে মালিক মুক্তিযোদ্ধা শেখ সুলতান আহম্মদ। যাহা এস এ ও ডিপি খতিয়ানের তার নামে মাঠ জরিপ করা হয়। এবং তিনি নিজ নামে নামপত্তন করেন। কিন্তু তার ওই মালিকানা সম্পত্তি স্থানীয় ভুমি দস্যু হারুনুর রশিদ,আবুল বাশার,মোঃ মিরাজ কিছু অংশ জবর দখল করে রেখেছেন। অন্য দিকে জোরপূর্বক তার মালিকানা পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন,ওইসব দস্যুদের হোতা মোঃ মোশারফ হোসেন, জহির উদ্দিন ও গোলাম মোস্তফা । বিনিময়ে তাকে কোন টাকা পয়সা দিতেন না। টাকা চাইলে উল্টো প্রাননাশের হুমকি দামকি দিতেন তারা। শিক্ষকতা থেকে অবসরে এসে নিজের ভুমি টুকু সিমানা দিয়ে দখল নিতে গেলে সেখানেও বাধাদেন জবর দখলদার আর ভুমিদস্যুরা।

ভুমি দস্যুদের এমন হয়রানি থেকে বাচতে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ,মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার বরাবর আবেদন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা শেখ সুলতান আহম্মেদ।

এ বিষয়ে,মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ কুমার জানান, একটি লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) নয়ন কুমার রাজ বংশীর উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

মোংলা থানার অফিসার ইনচাজ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন,মুক্তিযোদ্ধা শেখ সুলতান আহম্মদ কতৃক একটি লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হবে এবং মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক প্রধান শিক্ষক কে সহায়তা করা হবে।

মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান জানান,বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ সুলতান আঃ কতৃক লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য পৌরসভার আইন উপদেষ্টা এডভোকেট আঃ সালাম ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল হামিদ নাসির কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.