ইতেকাফ

৩২

কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম(শামীম)

দুনিয়ার যাবতীয় কাজ ও পরিবার পরিজন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে,
মসজিদে কিবা ঘরে রমজানের শেষ দশ দিন অবস্থান এক আল্লাহর ভয়ে,

পুরুষ কিবা নারী উভয়েই বসিতে পারে,
ইহাই ইসলামে ইতেকাফ,
মনোযোগ ও একাগ্রতার সঙ্গে আল্লাহর জিকির,
দোয়ায় সকল গুনাহর চাইতে মাফ৷

ইসলামী শরীয়াহ মতে ইতেকাফের ধরন
তিন সুন্নাত,ওয়াজিব আর নফল,
নফলে রোজা নয় আবশ্যকীয়,
সুন্নাত,ওয়াজিবে রোজাহীন বিফল,
নবী করিম(সাঃ)রমজানে করিতেন যে ইতেকাফ
তাহাই সুন্নাত,
জীবনদর্শায় প্রিয় নবী করিম(সাঃ)
বাদ দেননি কভু এ ইতেকাফের ইবাদত৷

মানতের যে ইতেকাফ তাহাকে বলা হয় ওয়াজিব,
নফল ইতেকাফ যখন ইচ্ছে করা যায়,
রাখিতে দ্বীনি দ্বীল সজীব,
মুসলমান ও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ ইতেকাফের অধিকারী,
কাফের,পাগলের জন্য ইসলামে ইতেকাফ নয় জরুরি৷

পাড়া বা মহল্লার মসজিদে রমজানের শেষ দশে
একজনও না করলে ইতেকাফ,
সকলেই হবে আল্লাহর দরবারে অপরাধী,
করবেন না মাফ,
এ ইতেকাফে মিলে আল্লাহর দিদার,
মিলে সাক্ষাৎ মহামান্বিত কদরের রাত,
যে করে এ আমল তার রয়েছে অসংখ্য ফজিলত,
বৃথা যায় না কভু এ মেহনত৷

এসো এসো হে মুমিন মুসলমান,
রমজানের শেষ দশে খুঁজি শবে কদর,
করি আল্লাহর সন্ধান,
মনোযোগ ও একাগ্রতায় জিকির,দোয়া,
কুরআন তেলাওয়াতে চাই মাফ,
অতি উত্তম উপায় দুনিয়াবী কাজ বাদে
বসে পরা আল্লাহর ধ্যানে ইতেকাফ৷

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.