মজার ছলে দুঃখ প্রকাশ, কমলার বিয়ে…

৪৪

লেখক:মোঃসজীব হোসাইন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ইন্টার্নি ডাঃ মৌরিনের আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে একটি কলাম লিখেছিলাম। ঐ কলাম অনেকেই পড়েছিল। মেয়েদের নিয়ে লেখালেখি আমার পছন্দ নয়, তাই মেয়েদের নিয়ে বেশি গবেষণাও করিনা। যাইহোক ০২-০৭-২০২৩ রবিবার রাতে বুকের মাঝখানটা চিনচিনিয়ে ব্যথা অনুভব করল। গভীর রাত ঘুমহচ্ছেনা তাই লেখতেছি, ব্যথা লাগার দুইটি কারণ প্রধান কারণ হল- আমার ডাক মায়ের কন্যা কমলার বিয়ে আগামী কাল- কিন্তু আমি দাওয়াত পাইনি। আসলে দাওয়াত দিলেও হয়তো যাওয়া হতো না। তবু দাওয়াতের চাহিদার কমতি নেই মনে। সন্ধা থেকেই মনটা খারাপ, হবু ডাক্তার মোছাঃ নিলুফা ইয়াসমিন (নিলা) ও তার মা কল দিয়েছিল। নিলা সহ দুই পরিবারের ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও আমার অনাগ্রহের কারণে আমাদের বিয়ে হয়নি। আমার মাধ্যমে আন্টির সাথে আম্মার পরিচয় হলেও আন্টির গভীর বান্ধবী হয়েগিয়েছিল আম্মা । যাইহোক ডাঃ তামান্না জাহান ইভার বিয়ের দিনও এ রকম ব্যথা অনুভব করেছিলাম। কারণ ভদ্রমেয়ের বাবার সাথেও ছিল সুমধুর সম্পর্ক। সেই বিয়েটাও খুব গোপনে হয়েছিল। তার পরিবারের সবাই জানতো না। সুতরাং দাওয়াত পাওয়ার প্রশ্নই আসেনা। নতুন চেতনার বিপ্লব ও সমাজ সেবা যখন আমার নেশাছিল- তখন কমলার মায়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল। কমলার মায়ের হাতের রান্না কতদিন খেয়েছি, আমার হিসাব নাই। নদীর তাজা মাছ ভাজি করে গরম ভাত খাওয়াতো, ঠিক মায়ের মত। সে আপসোস করতো সজীব কেন- আমার পেটে জন্মায় নি? বন্ধু খবর দিয়েছে কমলার বিয়ে হবে আগামীকাল। শুনে ক্ষীণ সময় কষ্ট পেলাম। জীবনের গল্পগুলো সবার সাথে শেয়ার করবো, তবে আমার বহু ফাইল টেবিলে আটকাপরে আছে। বিশেষ করে সঙ্গী নিয়ে পথ চলার ফাইলতো টেবিলে বহুদিন যাবত আটকাপরেই আছে। আর কতদিন আটকা থাকবে আমি নিজেও জানিনা। তাই মনের সব কথা শেয়ার করতে পারিনা, কখন কে আবার ভুল বুঝে ফেলবে, কে জানে? যদি কেও ভুলবুঝে ফাইলগুলো আবার টেবিলেই আটকিয়ে রেখে দেয় যুগযুগান্তর? সবচেয়ে কাছের যে ফ্রেন্ড ছিল আফরিন। দেশসেবা নিয়ে চুক্তিভিত্তিক ফ্রেন্ডশিপ হয়েছিল তার সঙ্গে। সে আমার সাথে অবিশ্বাস্য বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। আসলে আমার জীবনের গতিপথ কে বাধাগ্রস্ত করতে যারা কাজ করেছে প্রত্যেকেই আমার স্বজন ছিল। (০১) কমলার মায়ের সাথে যখন বাপ বেটির সম্পর্ক, তখন আমাদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে আমার ৩ বছরের ক্লাসমেট মিথ্যাচার করেছিল।
(০২) আমি যখন দুই বছর আগে চরম বিপদ গ্রস্থ তখন প্রতিপক্ষকে প্রকাশ্যে সাহায্য সহ মিথ্যাচার করেছে ১০ বছরের ক্লাসম্যাট। (০৩) গত ২৩ শে মে ২০২৩ আমার উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে- সন্ত্রাসীদের ইন্ধন দিয়েছে- আমার কাছের কজন। তাছাড়া ০৬ জন সন্ত্রাসীদের মধ্যে দুইজনই আমার ইউনিয়নের। স্বঘোষিত মূলহোতা পূর্ব পুরুষদের প্রায় তিনশ বছরের বসতগ্রামের ও আমার বর্তমান মৌজার। (০৪)মানব সেবায় আমার বিশ্বজয়ের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কাছের লোকেরাই। (০৫)পৃথিবীতে সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু মনে করেছিলাম স্নেহের সহযোদ্ধা ও ফ্রেন্ড আফরিনকে। সে তার সার্থের জন্য আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। যদিও তাতে সে প্রাকৃতিকভাবে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কমলার মাকে বলেছিলাম- “যারা আমাকে বিনা করণে কষ্ট দেয়, তারা প্রকৃতি থেকেই ধ্বংসের সম্মুখীন হয়।” কমলার মা যখন আমাকে ছেলে মেনেছিল, তখন কমলা ভেবেছিল- ভবিষ্যতে পালকপুত্র হিসাবে জমিতে ভাগ বসাতে পারে। তাই তার মায়ের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে দ্বিতীয় হাত ছিল কমলার। কমলার আচরণে আমি কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু তবু সবসময় আমি কমলার মঙ্গল কামনা করতাম। কারণ কমলার ক্ষতি হলে আমার ডাক মা কষ্ট পাবে। আমাকে কষ্ট দিয়ে পৃথিবীতে সফলার পথে অগ্রসর হচ্ছে একমাত্র কমলা। আসলে শেষ পর্যন্ত কমলা কতটুকু সফলতা পবে জানিনা? আজ আমার ফুফাতো বোনেরও বিয়ে হচ্ছে। অন্য সকল ভাই বোনের চেয়ে তুলনামূলক এই মেয়েটি বহুগুণে ভাল।
দেখলেই সজীব ভাইয়্যা বলে ডাকে। শ্রদ্ধা ভক্তি করে অনেক। সুখী হোক সে। ছোট দুইভাই বিয়ের দাওয়াতে গেছে। আগামীকাল ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে একটি বিশেষ কাজে যেতে হবে, তাই বিয়েতে যেতে পারলাম না। আমার দাবি অনুযায়ী, অদৃশ্য কাল্পনিক এক রমনীকে উদ্দেশ্য করে লেখা- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও দীর্ঘতম প্রেমপত্র “কলমের কথা” এখনো প্রকাশ করতে পারিনি। তবে লেখার কাজ চলমান রয়েছে। খুবই ব্যস্ততায় কাটছে দিনরাত। যাইহোক আমি পরিপূর্ণ স্বাধীন নয়, ২৩শে মে ২০২৩ থেকে সমাজিক মাধ্যম থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছে- সন্ত্রাসীরা। তবে অতি দ্রুতই আবার আগের মত স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করবো, এমনটিই প্রত্যাশা করি। পাঠকরা জানেন কি? একজন ভাবুক, একজন লেখক, একজন দেশপ্রেমিক, একজন সমাজকর্মী- কেন তার ভুলগুলো বা তার পরাজয়গুলো বা তার সফলতার গল্পগুলো আপনাদের কে শুনায়? কেন একজন ধর্ষিত নারী (যে অন্যায়ের সাথে আপোষ করেনা) তার ধর্ষিত হওয়ার গল্প আপনাদেরকে শুনায়? কেন পিছনের ভুলগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হয়?
উত্তরঃ “অতিতের সমস্যাটি যেন, ভবিষ্যতে আর প্রতীয়মান না হয়।”
নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন কেন “নিরাপদ সড়ক” আন্দোলন করে? উঃ সে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রীকে হারিয়েছে। সে চায় নিরাপদ সড়ক হওয়ার মাধ্যমে আর কেউ স্বজন না হারাক। অবশ্যই সে জানে- তার স্ত্রী আর ফিরে আসবে না।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.