বিয়ের এক বছর পর লাশ

৩৮

অভিজীত শর্মা,ফেণী প্রতিনিধি: ২০২০ সালে ১০ রমজানে পাশের এলাকার আকাশকে বিয়ে করেছিলেন সীমা। বিয়ে করার এক বছর পর বাড়ি ফিরল সীমা কিন্তু লাশ হয়ে। ৩০ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে তার মরদেহ দাফন কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। সীমা হল ফেণী জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরমজলিশপুর ইউনিয়নের, চরগোপালগাঁও গ্রামের ইটালি প্রবাসী ইব্রাহীমের মেয়ে। সীমার স্বামী হল ফেণী জেলার ও সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের মৃত ওবায়দুল হকের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (আকাশ)।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে পালিয়ে আকাশকে বিয়ে করেন সীমা। এরপর থেকে তারা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে আকাশের মুঠোফোন থেকে সীমার বাবাকে ফোন করে জানানো হয় তার সীমা আত্মহত্যা করে।ঢাকায় উত্তর বাড্ডা এলাকায় ভাড়া বাসায় এই ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে সীমার বাবা (ইব্রাহীম) ওই বাসায় গিয়ে জানতে পারেন ভাটারা থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে। পরে মর্গ থেকে সীমার মরদেহ এনে শুক্রবার রাতে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।

সীমার বাবা (ইব্রাহীম) বলেন, “আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি ঢাকার ভাটারা থানায় আকাশকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।” এইদিকে আকাশ বেশ কয়েকবছর যাবত নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আইসিটি বিষয়ক কনসালটেন্ট দাবি করে বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি দেয়ার নামে স্থানীয় কিছুসংখ্যক লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কয়েক দফায় সালিশে মাধ্যমে কয়েকজনের টাকা উদ্ধারও করা হয়েছে।
সর্বশেষ জানা যায়, এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.