বিক্ষোভে মুক্ত মামুনুল হক

২৬

ডেস্ক রিপোর্টঃ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে নারীসহ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

শনিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রয়াল রিসোর্টের ৫ম তালার ৫০১ নম্বর কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এসময় ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায় মামুনুল হক কে স্থানীয় কয়েকজন গনমাধ্যম কর্মী পরিচয় দানকারী বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করেন। এসময় মামুনুল হক জানান তিনি শরীয়ত মোতাবেক দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তিনি ইমানের কসম খেয়ে বলেন আমি কোন আকাম করি নাই। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন কে মামুনুল হক কে ছাত্রলীগ, যুবলীগের বিরুদ্ধে কথা বলায় গালি দিতে ও দেখা যায়।

এদিকে এঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছেন। অন্য দিকে হেফাজতের নেতাকর্মীরা খবর পেয়ে রিসোর্ট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং রিসোর্টে ব্যাপক ভাংচুর চালান।

এদিকে মাওলানা মামুনুল হকের দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে তার ভাগ্নে মাওলানা এহসানুল হক এক ফেসবুক স্টাটাসে জানান, আমার শ্রদ্ধেয় মামা আল্লামা মামুনুল হককে তার দ্বিতীয় স্ত্রী (আমার মামী)সহ নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রিসোর্টে আক্রমণ করেছে। তিনি জানান, এ বিয়ে কোনো লুকোচুরির বিষয় নয়। এটি পারিবারিকভাবে হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামুনুল হক অবরুদ্ধ এমন খবর শুনে সেখানে সন্ধ্যার পর জড়ো হতে থাকেন তার সমর্থকরা। একপর্যায়ে রয়েল রিসোর্ট থেকে উদ্ধার করে মামুনুল হককে নিয়ে যান তারা। এসময় বিক্ষোভ মিছিলের সাথে মামুনুল হক কে নিয়ে আসেন তারা। এদিকে মুক্ত হওযার পর মামুনুল হক পুলিশ ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান এবং তিনি বলেন পুলিশ, সাংবাদিক কোন খারাপ ব্যবহার করে নি। স্থানীয় কয়েকজন তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। তিনি হেফাজত নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান।

এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজধানীতে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। এছাড়াও দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ হচ্ছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.