নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত পেতে পরিবারের আহাজারি।

 

মির্জা তুষার আহমেদ, রাজশাহী।নওগাঁর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত পেতে তার পরিবারের আহাজারি চলছে। আল আল আমিনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা জানান, ঘটনার দিন দুপুর পর্যন্ত আমার স্বামী বাড়ির কাজ করেছে।

এরপর বিকেলে মাঠে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সন্ধ্যার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল।এরপর আমরা জানতে পারি বিএসএফের গুলিতে আমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আমাদের ৬ মাসের একটা বাচ্চা রয়েছে।তাকে ছাড়া আমি এখন কীভাবে জীবন পার করব।

নিহত আল আমিনের বাবা সিদ্দিক আলী জানান, আমার ছেলের সঙ্গে কি হয়েছে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা কিছুই জানতে পারিনি।

শুধু জেনেছি বিএসএফের গুলিতে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। যাই হোক ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না। এখন শুধু মরদেহটির অপেক্ষায় আছি। শেষ দেখাটা দেখে ছেলেকে নিজ ভিটা মাটিতে করব দিতে চাই। আমার ছেলের মরদেহটা ফেরত চাই।

নওগাঁ ১৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক সিও লেফটেনেন্ট কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান জানান, ঘটনার পর সীমান্তে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক আয়োজন করা হয়। গতকাল দুপুর দুইটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে বৈঠক। এতে ১৬ বিজিবি ও ১৫৯ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সিও আরও জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে আল আমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছে বিএসএফ। বৈঠকে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। ভারতীয় আইনি প্রক্রিয়া ও ময়নাতদন্ত শেষে দ্রুতই মরদেহ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিএসএফ কর্মকর্তারা। আজ মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.