নওগাঁয় আগাম শিম চাষে অধিক লাভের আশা চাষীদে।

২৯

ব্যুরো প্রধান রাজশাহীঃ

নওগাঁয় আগাম জাতের শিম চাষ করে অধিক লাভের আশা করছেন জেলার শিম চাষীরা। কৃষিপ্রধান এই জেলায় বিগত বছর গুলোর মতো চলতি বছরেরও চাষ করা হয়েছে আগাম জাতের শিম।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ও ভালো হবে বলে আশা করছে চাষীরা। সব কিছু ঠিক থাকলে শীত মৌসুম শুরুর আগেই বাজারে আসতে শুরু করবে এই শিম। আর সে সময় বাজারে শিমের চাহিদা বেশি থাকায় দামটাও পাবে বেশ ভাল। সব মিলিয়ে এবার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত এই আগাম জাতের শিম থেকে ভালোই লাভ করতে পারবে বলে আশা করছে তারা বড়ো ধরনের বন্যা হলে এতে ক্ষতি হানা দিতে পারে বলেও জানান তারা।

জেলা কৃষিসম্প্রসারণ আধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এবছর ৮০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ করা হয়েছে। জেলার ১১ টি উপজেলার মধ্যে নওগাঁ সদর, মহাদেবপুর, বদলগাছী ও মান্দায় উপজেলায় আগাম জাতের শিম চাষ হয়েছে।

জেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গিয়েছে, যত দূর চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। এরই মধ্য আবার সিম গাছ গুলোতে আসতে শুরুর করেছে বেগুনী রঙের ফুল। চোখ ধাঁধানো এমন দৃশ্য এখন জেলার শিমক্ষেতগুলোতে। আর এই শিম ক্ষেত গুলোর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। কেউ ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করছে, কেউ ক্ষেতে সার প্রয়োগ করছে, কেউবা আবার পোকা মাকড়দের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে শিম গাছে কীটনাশক স্প্রে করছে। প্রচণ্ড রোগ ও গরমের মধ্যেও শিম ক্ষেত পরিচর্যায় একটুও যেন ক্লান্তি নেই তাদের মধ্য।

সদর উপজেলার চুয়ারপুর এলাকার শিম চাষী আব্দুল মজিদ ক্ষেতে পরিচর্যার কাজ করছিলো। তিনি বলেন, এ বছর প্রায় দেড় বিঘা জমিতে আগাম জাতের শিম চাষ করেছি। সার ও কীটনাশকের দাম অনেক বেশি। এছাড়াও এবার খরা বেশি হওয়ার কারণে ঔষধ বেশি দিতে হচ্ছে ।

সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি জমিতে খরচ হবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো। আবহাওয়া যদি ভালো থাকে ফলন বিপর্যয় না হয় তাহলে এই মৌসুমে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।

একই উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের শিম চাষী আবুল কালাম বলেন, আগাম জাতের শিম চাষ লাভ জনক একটি ফসল। আমি সারা দিন শিমক্ষেতের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। শুধু আমি নয় আমার ছেলে এবং কখনো কখনো আমার ছেলের মা ও আসে আমাকে সাহায্য করার জন্য। আমার ক্ষেতের আগাম জাতের এই শিম শীত মৌসুম শুরুর আগেই বাজারের বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি। আর তখন দামটাও অনেক ভালো পাওয়া যায়। তখন কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা বিক্রি হয়। তবে শিম গাছে মাঝে মধ্য পোকার অত্যাচার বেড়ে যায়। পোকা দমনে অনেক কীটনাশক প্রয়োগ করলেও পোকা দমনে হিমশিম খেতে হয়। তার পর গাছ থেকে ফুল ঝরে যাওয়া সমস্যা ও আছে। তাই এই বিষয় গুলোর দিকে যদি লক্ষ্য রেখে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ পেতাম তাহলে আমাদের অনেক উপকার হতো।

তাই কৃষি বিভাগের প্রতি আমাদের অনুরোধ তারা যেন নিয়মিত আমাদেরকে পরামর্শ দেয়।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগাম জাতের শিম চাষে অধিক লাভ জনক হওয়ায় এই শিম চাষে কৃষকদের আগ্রহ অনেক বাড়ছে।

তাছাড়াও ভালো ফলন পেতে মাঠপর্যায়ে শিম চাষিদের শিম চাষ করতে কি কি ধরনের সমস্যা হচ্ছে তা সমাধান করতে মাঠ পর্যায়ে সিম চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে আগাম সিমের বাজার দর ভালো হওয়ায় কৃষক অধিক লাভোবান হচ্ছে এই প্রেক্ষিতে নওগাঁ জেলায় আগাম সিম চাষ সম্রসারিত হচ্ছে।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.