মোঃ ফরহাদ আহমেদ,ঢাকা উত্তর প্রতিনিধি,ধামরাই: গত ০১ বছর ধরে স্বাস্থ্য বিভাগ করোনা মহামারীতে জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে। অনেক চিকিৎসক সহ দেশ বরেন্য কৃতিমানেরা করোনায় মৃত্যুবরন করেছেন। প্রায় প্রত্যেক ডাক্তার বা তার পরিবার করোনা মহামারিতে কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও থেমে থাকেনি কোন সেবা।
করোনা রোগীর স্যাম্পল কালেকশন, রোগীর সেবা, বিনা বাজেটে ১২,০০০ মানুষের ভ্যাকসিন প্রদান, মাঠ কর্মীদের টিকা প্রদান, সচেতনতা কার্যক্রম, কোন কিছুই বাদ যায়নি।
হাসপালের আউটডোর, ইনডোর, ইমার্জেন্সী সব জায়গায় সেই উপচেপড়া ভীড়, সামাজিক দূরত্ব, স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই নেই। অরক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে দিন-রাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এত সীমাবদ্ধতার মাঝে এত কিছু করার পরেও আমরা স্বাস্থ্যবিভাগকে গুরুত্ব দিলাম না।
ছিদ্রান্বেষীরা দোষ খুজতেই ব্যস্ত। ছিদ্র না খুজে বরং ছিদ্রটা কিভাবে পূরণ করা যায়, সে জায়গায় পারলে সহায়তা করুন।
এখনো প্রায়োরিটির বেলায় সব জায়গায় স্বাস্থ্য বিভাগের নাম অনেক নীচে থাকে।
এখন অন্তত মানসিকভাবে নিজের মাঝে পরিবর্তন আনুন। স্বাস্থ্য বিভাগকে লালন করুন, ধারণ করুন, উন্নতির জন্য কাজ করুন। স্বাস্থ্যবিভাগে যারা কাজ করে তাদেরকে সম্মান করুন, সাহস দিন। চিকিৎসা পেতে কোন সমস্যা হলে শুধু চিকিৎসকদের ঢালাওভাবে দোষারোপ না করে সমস্যার মূলে হাত দিন। সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন। সর্বোপরি এই করোনাকালীন মহাদূর্যোগে সবাই ইতিবাচক আচরন করুন,স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সকলের সুস্থ্যতা কামনা করছি।
আজকের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সি, আউটডোর ও ইনডোরের চিত্র। কমিউনিটি ক্লিনিকে চেয়ারম্যানদের সাথে নিয়ে মসজিদে নামাজের আগে স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক বয়ানের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় ।