কেমন হতে যাচ্ছে এবারের লকডাউন

২০

মোঃ সাইদুল ইসলাম,ঢাকা উত্তর কোভিড-১৯ এ বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা । গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৫৮জন যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২১৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮৮৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ জন।

শনিবার (০২ মার্চ) করোনায় মারা যায় সর্বোচ্চ ৫৯ জন। এছাড়া ৬ হাজার ১০৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ধারাবাহিক শনাক্ত ও মৃত্যু পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় দেশের করোনা আবারও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে।

এই অবস্থায় ঢাকার হাসপাতালগুলোতে দেখা গেছে, বাড়ছে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ফাঁকা নেই কোনো আইসিইউ। প্রবল সংকটের মধ্যে সাধারণ শয্যা পেতেও হিমশিম খাচ্ছেন রোগীরা।

ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দুই সপ্তাহের জন্য ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করা করেছে সরকার। সকল ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত, উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ, বিয়ে/জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।

এছাড়াও মসজিদ সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করা, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী বহন না করা, যান চলাচল সীমিত করা, বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা, সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে।

এদিকে করোনা প্রতিনিয়ত বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ রেলওয়ে গত বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিট ইস্যুর ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম প্রবর্তন করেছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১১ এপ্রিলের পর আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট ইস্যু পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.