কবিতা: চৈত্রের মধ্য দুপুর

১৮১

কবি মোঃ সাইফুল ইসলাম শামীম(কৃষিবিদ)

চারিদিক তীর্যক সূর্য দহনে পুঁড়ে চৌচির,
খাঁ খাঁ করছে কাঠফাটা চৈত্রের খরতাপ,
জন মানব পশুপাখি বৃক্ষরাজি ছাড়ছে শ্বাসে উত্তাপ,
চৈত্রের মধ্য দুপুর সকলকে করে তোলে অধীর,

কোথাও নেই একটু বৃষ্টির স্বাভাবিক ছোঁয়া,
পথ ঘাটে শুধু উষ্ণ বালু কণা,ফসলি জমি ফাটাফাটা,
চৈত্রের মধ্য দুপুরে কেউ নেই বাহির,
যদি খুব না হয় জরুরী, দাবানলের মত তাপ,
বাতাসে ভেসে চলছে অগ্নি ধোঁয়া৷

নদী নালা খাল বিল পুকুরে পানি এখন তলানীতে,
শহর কিবা গ্রামে বিশুদ্ধ পানির ঘাটতির দিকে,
যত টুকু ছায়া পায় বৃক্ষে বা নীড়ে
জোট বেধে বসে পড়ে সবাই,
শহর কিবা গ্রামে যা ছিল অতীতে,প্রচুর বৃক্ষরাজিতে৷

বন জঙ্গল গুলো কেটে কেটে হচ্ছে ঘরবাড়ি,
প্রাকৃতিক উষ্ণতা বৃদ্ধির এক প্রধান কারন,
তারি মাঝে কলকারখানার দূষিত বর্জ্য ধোঁয়া,
চৈত্রের মধ্য দুপুরে এখন বড়ই বিরাজমান অসংগতি৷

ভূ পৃষ্টের তলদেশে পানি কমে যাচ্ছে দিন দিন,
ঘন বসতি,কলকারখানা নির্মানে সারি সারি বৃক্ষ উজাড়!
সেটুকু তো আজ আর নেই,নদী কিবা খাল বিলের পানি
নেই দুরন্ত বালক বালিকার ঝাঁপাঝাঁপি স্নান চিত্র হারাচ্ছে৷

চারিদিক শুধু নির্জীব চলাচল চৈত্রের রোদ,
কেউ কোথাও থামে না একটুও ঘামে ভেজার ভয়ে,
তবু যারা অসহায় মাঠে ঘাটে খেটে আনে রোজগার,
চৈত্রের দুপুর মন প্রাণ ভরে কিনে শুধু এক মুঠো রোদ৷

ছবি: তন্দ্রাময়ী।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.