মোঃ সাইফুল ইাসলাম,ডেস্ক রিপোর্ট: সারাবিশ্বে এখন একটাই অসুখ করোনা সুনামীর ঢেউয়ে সবকিছু চুরমার করে দিচ্ছে বিশ্বের একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্ত। বাদ যায়নি পৃথিবী নামক গ্রহের কোনো অলিগলি।
ভয়ংকর সুনামী, দাবানল কিংবা প্রাকৃতিক দূর্যোগগুলো এক মুহুর্তে একটা জনপদকে লন্ডভন্ড করে দিয়ে খান্ত হয়।
কিন্তু করোনার ভয়াল থাবায় স্হবির ঘোটা বিশ্ব। সময়ে অসময়ে এই অসুখের ছোঁয়ায় দিশেহারা মানুষ। কখন কোথায় করোনার করুনায় থামবে বিশ্ব বোঝা মুশকিল। থমকে যাওয়া অসুখে ভোগা এই বিশ্বে চির সবুজ, সোনালী বাংলা ও সুস্থ বাংলা গড়ায় কতোটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?
যেখানে ছোট্ট বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী আজ কর্মহীন,
করোনাকালীনও মানুষ প্রশ্ন তুলছে পুলিশ বড়ো না ডাক্তার বড়ো? অসুস্থ বিশ্বে এখন একজন ডাক্তারের ভূমিকা সু্স্হ পৃথিবী গড়ার অন্যতম হাতিয়ার। এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তার, পুলিশ, সাংবাদিক এবং যারাই করোনা মহামারিতে একনিষ্ঠ কাজ করে যাচ্ছে সকলের জায়গা হতে একে অপরকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা উচিত। যেখানে একজন ডাক্তারের পোষাকই বলে দেয় অসুস্থ বাংলাদেশকে সুস্হ করার একজন একনিষ্ঠ কর্মী,
সেখানে ডাক্তারকেও অহেতুক প্রশ্নবান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়াবাড়ি নয় কি?
যেখানে এখন একজন ডাক্তার প্রতিনিয়ত করোনার রোগীদের সাথে সময় কাটাতে হয়।
কেউ তাঁদের সেবায় সুস্থ হয়ে ফিরছে পরিবারের কাছে আবার কেউ হারিয়ে যাচ্ছে অন্তত কালের বরযাত্রী হয়ে।
পৃথিবী নামক গ্রহে আর কখনো ফেরা হবে না কারো সহযাত্রী, কারো সহকর্মী, কারো বন্ধু, কারো পরিবারের অমূল্য অংশ হয়ে।
এহেন পরিস্থিতিতেও আমরা কেউ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে কেনো নারাজ? ডাক্তার, প্রশাসন, কাস্টমস, সাংবাদিক, ঔষধ ও খাদ্যপন্যসহ যাঁরাই আগামীর সুস্থ বাংলাদেশ গড়ায় একনিষ্ঠ সেবায় জড়িত সকলেরই উচিত একে অন্যের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হওয়া। সকলের সম্বলিত প্রচেষ্টাই উপহার হতে পারে সবুজ, শ্যামল সতেজ, নির্মল, স্নিগ্ধ ও সুস্থ আগামীর বাংলাদেশের। হারিয়ে যাওয়ার দীর্ঘ মিছিল দেখেও আমরা নিজেদের সংশোধনের সুযোগ না নিয়ে, অহংকার আর দম্ভের উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সকলে প্রতিনিয়ত অসুস্থ প্রতিযোগিতা করছি। বিনয়, নম্রতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গড়ে দিতে পারে আগামীর স্বপ্নিল সোনার বাংলাদেশের।
ছবি: মো:জাহাঙ্গীর আলম শান্ত।