একজন মিতা চৌধুরীর প্রয়ান এবং অত:পর….

১৫

মো: সালেহীন ফেরদৌস
ঢাকা।

গত ২৯ ই জুন,২০২৩ প্রখ্যাত অভিনেত্রী মিতা চৌধুরী ইন্তেকাল করেন। বেশ অনেকদিন লন্ডনে ছিলেন তিনি।

কে এই মিতা চৌধুরী?

সত্তর এবং আশির দশকে টিভি ও মঞ্চ নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ছিলেন এই মিতা চৌধুরী । তবে ২০ দশকের প্রজন্ম মিতা চৌধুরীকে প্রথমেই মনে করবে আদনান আল রাজীবের ‘অলটাইম দৌড়ের উপর’ টেলিফিল্মের জন্য। একজন অবিবাহিত মাঝ বয়সী নারীর ভূমিকায় ছিলেন তিনি রি টেলিফিল্ম এ। যদিও একজন মধ্যবয়সী নারী,কিন্তু তাকে ঘিরেই এই টেলিফিল্ম এত কাহিনী গড়ে উঠেছিলো।অরণী নামের যে চরিত্রটায় হাজির হয়ে সবাইককে চমকে দিয়েছিলেন মিতা চৌধুরী। অদ্ভুত একটা বুকভাঙা কষ্ট ছিল মানুষটার।কষ্টটা একাকী জীবনের।
মধ্যবয়স্ক এক নারী, একাকীত্বের যন্ত্রণা ঘোচাতে যিনি বেছে নেন অন্যরকম এক রাস্তা।সেই রাস্তা ছিলো ল্যান্ড লাইনে কম বয়সী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করা।তখন ছিলো ল্যান্ডলাইনের যুগ। মোবাইল তখন এতো প্রসার পায় নি। অনেকের কাছেই ল্যান্ডলাইন ছিলো আভিজাত্যের প্রতীক। তাওসিফের মতো আমরাও অরণী চরিত্রে রূপদানকারী মিতা চৌধুরীর ওপর অভিমান পুষে রাখতে পারিনি ক্ল্যাইম্যাক্সের সেই অংশে। চোখের কোণায় জলের অস্তিত্ব আবিস্কার করে ক্ষমা করে দিয়েছিলাম আমরা তাকে।

গতকাল মিতা চৌধুরী মারা গেলেন। চলে গেলেন অনেকটা নীরবে।ঈদের ডামাডোলে খবরটা চাপা পড়ে গেছে প্রায়। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন লন্ডনে। অভিনয়ের যেটুকু প্রতিভা ছিল তার মধ্যে, তার পুরোটা আমরা ব্যবহার করতে পারিনি কখনও। মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ানো এই অভিনেত্রী তুমুল মেধার সাক্ষর তবু রেখে গেছেন বিভিন্ন সময়ে। সেটা হোক শান্ত কুটির, বরফ গলা নদী, আন্ডার কনস্ট্রাকশন কিংবা মেড ইন বাংলাদেশ- এ।

ভালো থাকবেন মিতা চৌধুরী। আপনার চলে যাওয়ার খবরটা শুনে একটা খারাপ লাগা কাজ করলো, অনেক বছর আগে আপনাকে অরণী হিসেবে আবিস্কার করে যেমন কষ্ট লেগেছিল বুকের ভেতর…
ওপারে ভালো থাকবেন।
বাস্তবের অরনীরা বড্ড একা হয়।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.