আইনি জটিলতায় ফেসে যাচ্ছেন পুরুষ।

৩৩

মোঃ সজীব হোসাইন,ময়মনসিংহ।

আজ ময়মনসিংহ জজকোর্ট এলাকায় আদালত পাড়ার খোজ খবর নিতে গেলে দেখা যায়, কিছু সংখ্যক নারী প্রকৃতপক্ষেই নির্যাতিত, তারা বিচারের জন্য আদালতে দারস্থ হয়েছেন। সরকার নারীদের আত্নমর্যাদা ও নিরাপত্তা দিতে “নারী নির্যাতন আইন” প্রণয়ন করেছেন। সরকারি উকিলও রয়েছে যারা বিনা খরচে নারীদের পক্ষে কথা বলে। সেজন্য সরকার সাধুবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে। যাইহোক কিছু সংখ্যক পুরুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা নারী কর্তৃক মানসিক ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, একইসাথে মামলার বোঝাও বহন করতেছেন। সম্প্রতি কক্সবাজার আদালতে একটি নারী নির্যাতন মাললার রায়ে বাদীর (নারী) ০৫ বছরের জেল হয়েছে। কারণ নারী পুরুষকে ফাঁসানোর জন্য মামলা করেছিল। জাতীয় সংসদে হাজী সেলিম এমপি “পুরুষ নির্যাতন আইন” উপস্থাপন করলেও তা পাশ হয়নি। তুলনামূলক ভাবে নির্যাতিত নারীর সংখ্যা বেশিহলেও সমাজে পুরুষও নির্যাতিত হচ্ছে। নারী অপহরণ ও ধর্ষণের ক্ষেত্রে- ভিক্টিমের কথাই প্রাধান্য পায়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, ছেলে মেয়ের যৌথ সম্মতিতে (মেয়ের পরিবারকে অবগত না করে) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে মেয়ের পরিবার জানার পর ধর্ষণ মামলা করে, এক্ষেত্রে কিছু ভিক্টিম জবান বন্ধীদেয়, “ছেলেটি আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছেন।” বিয়েটি যেহেতু অধিকতর ঢাকঢুল পিটিয়ে হয়নি, তাই মেয়েটি সহজেই অস্বীকারও করতে পারে। যতদূর জানাযায়, বর্তমান কোর্ট মেরিজ একজন আইনজীবী মাধ্যমেই হয়। সেক্ষেত্রে কোন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেনা। কিছুক্ষেত্রে মেয়ে বলে থাকে যে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়েছে। অথবা বলে- ভয় দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়েছে। একজন প্রতারিত পুরুষ বলেন, “নারী-পুরুষের সম্মতিতে যে সকল বিয়ে হয়, তা যদি একজন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে হতো তাহলে নারী পরবর্তীতে তার বক্তব্য উল্টাতে পারতো না। বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। কিন্তু বিবাহ রেজিষ্টেশনের ক্ষেত্রে ডিজিটালের কোন ছুয়া পায়নি, এটি খুবই দুঃখ জনক।”
বিজ্ঞ একজন আইনজীবী বলেন, “নারীর স্কুল সার্টিফিকেটে উল্লেখিত জন্ম তারিখকেই প্রকৃত জন্মতারিখ মনেকরা হয়। স্কুল সার্টিফিকেটে উল্লেখিত জন্মতারিখ ভুল প্রমাণ করা জটিল, যদিও তা প্রমাণ করা যায়। অনেক ক্ষেত্রে নারীর বয়স ১৮ উর্ধ্ব হলেও সার্টিফিকেটে তাদের বয়স কম থাকায় নারীদের বাবারা অতিরিক্ত একটি সুবিধা ভুগ করে থাকে।” একজন নির্যাতিত পুরুষ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মামলা হওয়ার এক বছর আগে আমি এভিডেভিড ও কাবিন সম্পাদন করে বিয়ে করেছি। নারী নির্যাতন আইন আছে, পুরুষ নির্যাতন আইন নাই। হয়ত সেই কারণেই পুলিশ চার্জশীট তৈরী করার সময় আমার কোন বক্তব্য গ্রহণ করেন নি। তবে পুলিশ সামান্য কিছু সত্য উল্লেখ করেছে, যারফলে আমি মুক্তিপেতে মহাঔষধের কাজ করবে।”

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.