মাদক সম্রাট মাহফুজ রহমান সুমন এর প্রাইভেট কার ২০ কেজি গাঁজা সহ পুলিশের হাতে আটক

৬৫

মোঃ ইকরামুল হক রাজিব,ব্যুরো প্রধান,খুলনা: অবশেষে সন্ধান মিলেছে কুমিল্লা থেকে মাদকের বড় চালান নিয়ে ফিরে আসার সময় ফকিরহাটের প্রাইভেটকার ও ড্রাইভার সহ পুলিশের হাতে আটক-৩ এর মুল হোতারা। বাগেরহাটের ফকিরহাটের একটা মাদক ব্যাবসায়ী চক্র দীর্ঘদিন ধরে প্রাইভেট কারে করে মাদকের বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাগেরহাটের ফকিরহাটে এনে বিক্রি করে আসছে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৯-৪-২১ তারিখ রাতে পাগলা শ্যামনগর গ্রামের আব্দুল আজিজ ঢালীর ছেলে প্রাইভেট কার মালিক মাহফুজুর রহমান (সুমন)ঢালী এর প্রাইভেট কার দিয়ে মোল্লাহাট উপজেলা থেকে তাকিয়ার কুল গ্রামের মহিউদ্দিন এর ছেলে আবুল কালাম(৩৫),নতুন ঘোষগাতি গ্রামের বারেক মোল্লার ছেলে মোঃ হাসান মোল্লা (৩৫)এবং ড্রাইভার ফকিরহাট উপজেলার লালচন্দ্রপুর গ্রামের আনোয়ার বিশ্বাস এর ছেলে রবিউল(২৪)কে দিয়ে কুমিল্লা পাঠিয়েছিল মাদকের একটি বড় চালান ফকিরহাট আনার জন্য।

কিন্তু বিধি বাম ধরা খেলেন তারা।উল্লেখ্য কুমিল্লা থেকে ২০ কেজি গাঁজা নিয়ে রওনা দেওয়ার পর লাকসামপুর চেকপোষ্টে পৌঁছালে পুলিশ গাড়ি তল্লাশি করে গাড়ির ভিতরে ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।গাড়িতে থাকা দুজন যাত্রী ড্রাইভার এবং প্রাইভেট কারটি আটক করে থানাতে নিয়ে যায় পুলিশ। এ ব্যাপারে কুমিল্লা লাকসাম থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে যার নং -১১ তারিখ ২৯-৪-২০২১।এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাগেরহাটাটের ফকিরহাটে এনে বিক্রি করে আসছে।

একাধিক সুত্রে জানা যায়, মাহফুজর রহমান সুমন দীর্ঘদিন ধরে তার প্রাইভেট কারে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মাদক এনে ফকিরহাট সহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে মাহফুজ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি গাড়ি ভাড়ায় কুমিল্লা পাঠিয়েছিলাম ফকিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে লাকসামে এসে গাড়ি চেক করে পুলিশ ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।

মাফুজ কোন ভাবেই সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয় নাই।এর আগেও যাত্রাপুরের রফিক ড্রাইভার কুমিল্লা থেকে কয়েকটি চালান ফকিরহাটে এনেছে বলে জানান ধৃত মাদক ব্যাবসায়ীরা। এলাকার সচেতন মহলের দাবি অতি দ্রুত এই মাহফুজকে আইনের আওতায় এনে এদের সাথে কে কে জড়িত তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হোক। তাহলেই ফকিরহাটকে মাদক মুক্ত করা সম্ভব হবে।

এদিকে মাদক সম্রাট মাহফুজ রহমান সুমন কে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে পড়েছে তার সাথের অন্যান্য ড্রাইভার এবং মালিকেরা। এমন কি তারা ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য উল্টো যে সাংবাদিক তাদের নামে নিউজ করেছে তার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করে বেড়াচ্ছে।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান আমরা মাদকের একটা বড় চালান আটক করেছি এদের সকলের বাড়ি বাগেরহাট জেলায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা থেকে মাদক নিয়ে বাগেরহাটে বিক্রি করে আসছিল।আমরা এদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এর সঙ্গে যারা জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.