বারহাট্টায় রাস্তা পরিণত হয়েছে মাছ চাষের পুকুরে

১৮

ওমর ফারুক আহম্মদ, জেলা প্রতিনিধি (নেত্রকোণা বারহাট্টা)
নেত্রকোণা বারহাট্টা উপজেলা ডেমুরা বিষয়টি হাস্যকর হলেও সত্য, তিন বছরেও রাস্তা পাকাকরণের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করতে পারেনি। রাস্তাটি বাস্তবে রুপ না নেওয়ায় আস্থা হারিয়ে ফেলেছে সাধারণ মানুষ। রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দুই বছর আগে কাজ শুরু হলেও এ পর্যন্ত মাটি কাটার পর কোথাও কোথাও বালু কংক্রিট দিলেও পাকাকরণ হয়নি। পাকাকরণ না হওয়াতে গত দুই বর্ষায় নিচু জায়গার রাস্তা ডুবে পানির স্রোতে খালে পরিণত হয়েছে। বড় দুটি ব্রীজের কাজ অদৃশ্যমান থাকায় মাছ চাষের উপযোগী হয়ে পড়েছে একটি।

কাজের শুরুতে পুরাতন ব্রীজটি ভাঙ্গার পর গত বছর করোনার মধ্যে নিচের ঢালাই হয়। পরে পিলারের জন্য রড বসানো হলেও আর পিলার তৈরি করা হয়নি। গত বর্ষাকালে এই রডগুলো পানিতে তলিয়ে যায়। এখন মরিচা ধরা রডগুলো অসহায়ের মত শুধুই দুঃস্বপ্ন। বৈশাখ মাসে মানুষের সোনার ফসল ধান মাড়াই মেশিন নিতে এবং ধান ঘরে তুলতেও কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে।

রাস্তার কাজ শেষ হবে না যদি এমনটাই হয় তবে কেন রাস্তা, ব্রিজ ভাঙা হয়েছে সেটাই প্রশ্ন এলাকার জনসাধারণের। রাস্তায় কাজ শুরু হওয়ার আগে বর্ষাকালে নৌকা প্রয়োজন না হলেও এখন নৌকা ব্যবহার করতে হয়।

এলাকার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন কখনো কি ব্রীজটি দৃশ্যমান হবে? আর কোনদিন ব্রীজের কাজ হলেও মরিচা ধরা এই রড দিয়েই কি ব্রীজটি হবে? ইঞ্জিনিয়ার কি বলে? রাস্তার কাজ শেষ হবে না যদি এমনটাই হয় তবে কেন রাস্তায় মাটি কাটা হয়েছে? ব্রিজ ভাঙা হয়েছে? প্রশ্নগুলোর উত্তর চায় এলাকার মানুষ।

নেত্রকোণা থেকে সমাজ পর্যন্ত পুরো রাস্তা পাকা থাকলেও মাঝখানে ডেমুরা থেকে গাজির বাজার পর্যন্ত আনুমানিক ৫ কিলোমিটার প্রাচীন এই রাস্তাটি পাকাকরণ হবে বলে ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত কেউই বিশ্বাস করে না। কারণ এই উন্নয়নশীল সরকারের হাতে রাস্তার কাজটি হচ্ছেনা তবে আর কি হবে? সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি যেন দ্রুত এই রাস্তাটির কাজ শেষ হয়।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.