ওষুধের সাথে ফ্রিজে মাছ-মাংস রাখায় জরিমানা গুনলো তিন ক্লিনিক।

২৩

আল-মামুন, বারোবাজার-ঝিনাইদহ।

ক্লিনিকের ফ্রিজে ওষুধের সাথে রাখা হচ্ছে মাছ-মাংস ও খাবার। মানা হচ্ছে না ক্লিনিক তৈরির বিধি-বিধান। এসব ক্লিনিকে নেই কোনো মেডিকেল অফিসার,নেই ডিপ্লোমা নার্সও। তারপরও অদক্ষদের দিয়েই ২৪ ঘণ্টা নিয়মিত চলছে গর্ভবতী রোগী ভর্তি, সিজার ও চিকিৎসা সেবা।
যশোর মণিরামপুরের মনোয়ারা ক্লিনিক, মণিরামপুর নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ক্লিনিক ও শহরের সিটি হাসপাতালে প্রশাসনের অভিযানের পর বেরিয়ে আসে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য।

১৩ জুলাই
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, র‍্যাব ও সিভিল সার্জনের সমন্বয়ে একটি আভিযানিক দল যশোর শহর ও মণিরামপুর অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে অভিযান চালায়।

এসময় তিনটি ক্লিনিকে অনিয়মের সত্যতা মেলায় মনোয়ারা ক্লিনিকের মালিক আব্দুল হাইকে ৩৫ হাজার টাকা, মণিরামপুর নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকের মালিক অলিয়ার রহমানকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও একবছরের কারাদণ্ড এবং সিটি হাসপাতালের মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চৌধুরী জানান, ‘ক্লিনিক তিনটিতে চিকিৎসার কোনো পরিবেশ নেই। তথাকথিত মেডিকেল অফিসার ও অদক্ষ নার্স দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করে আসছে। একটি ক্লিনিক পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন তার কোনো কিছুই ক্লিনিক তিনটির মালিক দেখাতে পারেননি। তাদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এক ক্লিনিকের মালিককে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা, অপর একটি ক্লিনিক মালিককে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানাসহ এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শহরের সিটি হাসপাতালকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে দক্ষ নার্স ও চিকিৎসক ছাড়া যেন তারা ক্লিনিক পরিচালনা করতে না পারে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।   
র‍্যাব ৬ সিপিসি ৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করার লক্ষ্যে র‍্যাব অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মণিরামপুরে অভিযান চালিয়ে দুটি ক্লিনিক মালিক এবং যশোরের একটি ক্লিনিক মালিককে জরিমানাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। র‍্যাবের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. ইফফাত জেরিন নূরানী ও ডা. সাফেদা আক্তার কেয়া।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.