স্বামীর পরকীয়া বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম !

৩২

 

মোঃ নাজমুল হাসান নবীন,বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১ নং মাদবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামে পরকীয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ায় স্ত্রী কচি আক্তার (৩২) কে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে পাষণ্ড স্বামী সাকুর খন্দকার।

আহত কচি আক্তার জানান, ১৫ বছর ধরে সুখের সাথে সংসার করে আসছি। আমরা ঢাকাতে একসাথে থাকতাম। অন্য এক নারীর সাথে আমার স্বামী পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন সময় আমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন। আমার স্বামী ৩ বছর আগে অ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করেন, তখন আমাকে বাবার বাড়ি হতে টাকার আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে,স্বামীর নির্যাতনে বাবার বাড়ি ও আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা এনে দেই। অ্যাম্বুলেন্স কেনার পর আমার উপর নির্যাতন আরো বেড়ে যায়। আমি তিন মাস আগে রামপুর গ্রামে তিন সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় উঠি। আজ ২০ জুন দুপুর ২ টায় আমার স্বামী ও শশুর ইউসুফ খন্দকার, দেবর আবু হাসান, মামুন খন্দকার, নাজমুল সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আমার ভাড়াটে বাসায় এসে এলোপাথরী কিল ঘুষি মারে ও ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। আমার ডাক চিৎকার স্থানীয় লোকজন আসলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।

আহত কচি আক্তারের ভাই ফারুক জানান, স্থানীয় লোকজন আমাকে খবর দিলে আমার বোনের ভাড়াটে বাসায় গিয়ে আমি দেখতে পাই আমার বোন (কচি) রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। তখন আমি কাঁঠালতলী পুলিশ ফাঁড়িতে ফোন করলে এসআই জাকির হোসেন আসেন। তখন আমার বোনকে উদ্ধার করে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দিতে নিয়ে আসি। এই হামলার বিষয় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন বলে তিনি জানান।

কাঠালতলী ফাঁড়ির এস আই জাকির হোসেন বলেন, আমরা ফোন পেয়ে ঘটনা স্থানে ছুটে যাই। আহত কচি আক্তারকে তার স্বজনরা চিকিৎসা দিতে নিয়ে গেছেন। আমরা ওখানে গেলে কচির স্বামী সাকুরকে দেখতে পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.