“শুভ জন্মদিন” একজন জীবন্ত কিংবদন্তির কথা বলছি

৩৩০

জেলা প্রতিনিধি(কাজল বিশ্বাস): যিনি শিক্ষক সমাজের জীবন্ত আদর্শ ও শিক্ষাগুরু জনাব মোঃ ওমর আলী সরকার। তিনি ১৯৫৯ সালে গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নের রোশাদিয়া গ্রামের সরকার পরিবারে জন্মগ্রহণ। শিক্ষা জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি গান,নাটক,যাত্রাপালা ও কৌতুক অভিনতা হিসেবে এলাকার অতিপরিচিত একজন সাংস্কৃতিক মনা মানুষ।

পারিবারিক জীবনে তিনি এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তানের জনক এবং একজন সফল বাবা, একজন সফল অভিভাবক। বড় মেয়ে “ওয়াহিদা সুলতানা” তিনি ইংরেজি সাহিত্যে ডিগ্রীধারী এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন, মেজো ছেলে “মাসুদ- উল-হক(মাছুম)” তিনি একজন বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ার এবং হাইস্পীড শিপইয়ার্ড এ কর্মরত আছেন, ছোট ছেলে “মাহমুদ-উল-হক(মামুন)” হিসাববিজ্ঞান বিভাগে ডিগ্রিধারী এবং একমি ল্যাবরটরিস লিঃ এ কর্মরত আছেন এবং বড় ছেলের বউ “সানজিদা আক্তার” তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে ডিগ্রিধারী এবং তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন, সর্বোপরি সত্যিই তিনি একজন সফল বাবা এবং একজন সফল অভিভাবক।

তিনি ১৯৭৭ সালে কুমুন সরাফত খাঁন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ১০ বছর তিনি বিনাবেতনে চাকরি করে বিদ্যালয়টি সরকারীকরন করতে সফল হন। দীর্ঘদিন তিনি বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ২০১৮ সালে ২৬ মে তিনি কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহন করেন। তিনি সারাজীবন এলাকার প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারের লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ইউনিয়নের ১৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের সাথে ছিল তার নিবিড় সম্পর্ক।সংগঠক হিসেবে তিনি সকলের শ্রদ্ধার পাত্র। তিনি দীর্ঘদিন গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করেন।

যদি ও তিনি রাজনৈতিক ভাবে কোন দলের সাথে সক্রিয় ছিলেন না। তারপরও তিনি স্হানীয় নির্বাচনের ক্ষেএে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রার্থীর উপদেষ্টা হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন ও এখনো রাখেন।

তিনি সুদীর্ঘ ৩০ বছর কুমুন বাজার মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করেন এবং কুমুন বাজার পরিচালনা কমিটিতে ২৫ বছর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বলিষ্ঠ নেতৃত্বের সহিত অবদান রাখেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তার অর্থ সম্পদের প্রতি লোভ লালসা শুন্যের কোঠায়। সবখানে তার উপস্থাপনা অত্যন্ত সুন্দর ও নান্দনিক। তিনি নিরহংকার, সত্যবাদী,সদালাপী, সুজন,রসিক,ভদ্র এবং যে কোন বিষয়ে সুপরামর্শ দাতা। শিক্ষকতা জীবনে তিনি কোনদিন অনিয়মের আশ্রয় গ্রহন করেননি। সর্বক্ষেএে তিনি আমানতদারিতা ও স্বচ্ছতার পরিচয় দিয়েছেন। আত্মসুখ অন্বেষণে না থেকে সমাজের কল্যানের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

তার চরিত্রের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো তাহার কাছে যে কেউ সাহায্য – সহযোগিতা কিংবা পরামর্শের জন্য যান তিনি সবাইকে অকাতরে সাহায্য- সহযোগিতা করেন। সাহায্যের জন্য এসে তার কাছে এসে কেউ তার কাছে বিরূপ ব্যবহার পেয়েছে এমন নজির নেই। তার সদয় অন্তর এবং মানুষকে সাহায্য করার প্রবনতার জন্য ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষ সবার কাছে তিনি গ্রহন যোগ্য মানুষ। তাই শিক্ষাগুরুর ৬২ তম জন্মদিনে ওনার সু স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.