লেখক: দুলাল চক্রবর্তীর
নিক্কণের ধ্বনি বাজছে…
শুনতে পাই এক নারীর অস্তিত্ব।
যে মুখোশে মধ্যেই সব রাতেই থাকে,
রাখে অনড় অচল স্থিতিয জাড্যতা
লুকায় রাত মোহনার মোহিনী মায়া।
…..একলা বসে আছি সেই ঝর্ণার তীরে।
হ্রদের জলে আজ খুব আনন
এক অন্য উচ্ছ্বাস ফুলে উঠেছে আমাকে ঘিরে।
আমিও স্থবির এক জীবন এখন।
….কখন ফিরে গেছে চেনা পাখির ঝাঁক নিজেদের নীড়ে
বাতাস এসে নিয়ে গেছে আকাশের সব তারা।
এক বেদুইন বেদনা তাবু ফেলেছে হ্রদের জঙ্গলে।
নিচের নীল জলে লেখা আছে মরন না জীবন,জানা নেই।
তবুও ওই কালো কাল সাপিনী
তরঙ্গে আমার শেষ স্নান রাতের দ্বিপ্রহরে।
মেঘলা আকাশ দেখে,সেই নারীও ভালবাসে রাত।
আমার বিবেক ঝরে পড়ে কিনারে,
একান্তের আবেগে আপন টুকু নিংড়ে।
একেবারে সর্বসান্ত হতে।
গলা টিপে ধরেছে আমার বাসন্তী বাসনা।
একেবারে উত্তাপ নিভিয়ে দিতে।
বাধ্য এখন আমি একেবারে গাঢ় হয়ে নারীর কাছে আসতে।
এই রাত, এই আকাশ, বাতাস সবাই নিশ্চুপ সাক্ষী।
প্রেম বুঝি এই পথে বহু আলোকবর্ষ থেকে এসে ফিরে যায়।
নিজের চিলে কোঠার বারান্দার কানাচ বেয়ে শ্যাওলা মাখা কার্নিশে কান্ন চুইয়েছে।
কেউ যেন বলে’ কান্না আছে বাড়িতে? ”
সেখানেই বালিশে মাথা চাঁদ মুখো মন আজ বাদলার রাত জাগছে।
কথারা তাল সুপারি পাতায় নাচুক সারা রাত,
আমি আজ একটু বিস্তারিত হবো,
এই প্রকৃতিতে তোমাকেই খুঁজবো,
ছদ্মবেশী তুমিই তো মৃত্যুর মধ্যেই আবার আসো
প্রেম নিবেদক ছলনায়।
আলোকচিত্র : রুবি আক্তার