মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল উদ্ধার করার পর মৃতদেহ শনাক্ত এবং আসামি গ্রেফতার (পিবিআই)

২০৫

মো: মেহেদী হাসান আশিক,ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর রুপনগর থানার দুয়ারীপাড়া এলাকার গ্রিল ওয়ার্কশপ কর্মচারী আবুল কালাম (২৩) ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টার সময় নিখোঁজ হন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা আসামি শামীম মৃধা ও স্বাধীন মীরকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর শামীমের ভাড়া বাসার মাটি খুঁড়ে ভিকটিম আবুল কালামের মৃতদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করে পুলিশ।

কঙ্কাল উদ্ধারের পরে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে আবুল কালামের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়। আবুল কালাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি স্বাধীন মীর।

ডিবি পুলিশ তদন্ত করে আসামি আকবর এবং সুমনের সঠিক নাম ঠিকানা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায়,গ্রেফতার শামীম মৃধা ও স্বাধীন মীরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন আদালতে। এ মামলায় বাদী না-রাজী আবদেন করলে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন আদালত।

আজ ৩০ মে দুপুরে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম তথ্যমতে, এ মামলার তদন্ত চলমান অবস্থায় পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে আসামি আকবরকে (২৪) ২৮ মে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহমুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গ্রেফতার করেন (পিবিআই)।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান,গ্রেফতার কৃত আসামি আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায় ভিকটিম আবুল কালামের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শামীমের মনমালিন্য হয়। শামীম ও তার বন্ধু স্বাধীন, আকবর ও সুমন আবুল কালামকে বাসা থেকে অপহরণ করে রাজধানীর বোটানিক্যাল গার্ডেনের পূর্ব পাশে পানির ডোবার কাছে রাত আনুমানিক ৮ টার সময় কুপিয়ে হত্যা করে ঘাসের নিচে লুকিয়ে রাখে।

বিষয়টা যাতে জানাজানি না হয় তাই ঘটনার পরের দিন রাতের বেলায় তারা ঘাসের নিচ থেকে আবুল কালামের মৃতদেহ তুলে বস্তায় ভরে শামীমের ভাড়া করা দুয়ারী পাড়ার বাসার মাঝে গর্ত করে পুতে রেখে মাটি দিয়ে পুনরায় গর্ত ভরাট করে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার পরে পরে গ্রেফতারকৃত আসামি শামীম ও স্বাধীনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিম মো. আবুল কালামের মরদেহের কঙ্কাল পুলিশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকবরকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.