ভাইরাল সেই সাব্বিরের পাশে দশমিনা ইউএনও

মেহেদী হাসান আশিক :

উপজেলা প্রশাসন দশমিনা এর পক্ষ থেকে সাগরকে দেয়া হয়েছে নগদ অর্থ সহায়তা, সাগরের পরিবারকে দেয়া হয়েছে খাদ্য সহায়তা। এছাড়া সাগরকে উৎসাহিত করার জন্য একটি নির্দেশনামূলক ডিও পত্র দেয়া হয়।

সাগর প্যাদা (১৫) কে নিয়ে গত ৮ই আগস্ট যমুনা টেলিভিশনে এবং ফেইসবুকে তার পরিবারের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অর্জিত সাফল্য সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ পায় যা খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দীন আল হেলাল’র নজরে আনেন উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জনাব নিজাম শিকদার।

বিষয়টি ইউএনও এর নজরে আসলে শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি সাগর ও তার পরিবারকে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা সহ উৎসাহিত করার জন্য একটি নির্দেশনামূলক ডিও পত্র দেন।

সাগর প্যাদা (১৫) দশমিনার বহরমপুর ইউনিয়নের লিটন প্যাদার ছেলে। বাবা স্টেডিয়াম এ মালির কাজ করেন। মা মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষার মাধ্যমে ক্ষুন্নিবৃত্তি করেন। একবোন প্রতিবন্ধী যিনি দশমিনা উপজেলায় মুজিববর্ষের ঘর পেয়েছেন।

এতসব প্রতিবন্ধকতা সাগরকে দমাতে পারেনি। বাবা স্টেডিয়ামের ক্লিনার হওয়ার সুবাদে বল কুড়ানো দিয়ে ক্রিকেটে আগ্রহের সূচনা সাগরের। কিন্তু প্রতিভা আর পরিশ্রম সাফল্য এনে দিয়েছে একের পর এক।

অল্প বয়সেই সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে নারায়ণগঞ্জ নাসিম ওসমান ক্রিকেট একাডেমির জুনিয়র দলের নিয়মিত খেলোয়াড় হিসেবে। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জে প্লেয়ার হান্টিং এর সময় ঢাকা সিটি ক্লাব তাকে জুনিয়র দলের বোলার হিসেবে বাছাই করে এবং ঢাকায় তাদের হোম গ্রাউন্ডে প্রাকটিস এর করানো শুরু করে।
সম্প্রতি বিসিবি’র গেইম ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের বাছাইয়ে বিসিবির অনূর্ধ্ব ১৬ দলে সুযোগ পেয়েছে।

সাগরের জন্যে জাতীয় দলের খেলোয়াড় হওয়াটা এখন আর কোন দূর আকাশের সপ্ন না। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে দশমিনার সাগর হতে পারে আগামীর সাকিব কিংবা মুস্তাফিজ।

দশমিনা উপজেলা থেকে প্রথম জাতীয় দলের খেলোয়াড় “In the making” এমনটাই প্রত্যাশা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দীন আল হেলাল। এর জন্য আরো ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে তিনি মনে করেন।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.