বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ও নৃশংসতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের দিন ১৫ আগস্ট |

৬৪

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
মোঃ সাইদুল ইসলাম হেলাল

৪৮বছর আগে ১৯৭৫ সালের এই কালরাতেই ঘটে বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংস ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড; যা কলঙ্কিত করেছে সমগ্র বাঙালি জাতিকে।সেদিন সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য বঙ্গবন্ধুকে স্ব- পরিবারে হত্যা   করে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে ১৫ আগস্টের সকল শহীদকে স্মরণ করছে বাংলাদেশের আপামর জনতা।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রাম শেষে বাঙালির মুক্তির মহানায়ক যখন দেশ পুনর্গঠন ও দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তখনই ঘটানো হয় ইতিহাসের নির্মমতম এ হত্যাকাণ্ড। শুধু বঙ্গবন্ধুই না, ওই কাল রাত্রীতে ঘাতকদের হাতে একে একে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এছাড়াও ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর আপন ছোট ভাই শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, আরিফ, বেবি ও সুকান্ত, আবদুল নাঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণিকেও এ রাতে হত্যা করা হয়।বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্নেল জামিলকেও সেদিন প্রাণ হারাতে হয়েছিল ঘাতকদের হাতে। তবে সে সময় বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো বাঙালি তার জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে না, বলেই বিশ্বাস করতেন বঙ্গবন্ধু। আর এজন্যই গণভবনের পরিবর্তে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে সপরিবারে বসবাস করতেন তিনি। স্বাধীনতার পর এখান থেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করেন তিনি।বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিরা দীর্ঘদিন ছিল বিচারের আওতাবহির্ভূত। দীর্ঘ ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা আবারও সচল হয়। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আদালতের চূড়ান্ত রায় কার্যকর হয়।প্রতি বছরের মতো এবারও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হবে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে গভীর শ্রদ্ধার সাথে দিবসটি পালন করবে বাঙালি জাতি। এ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.