প্রতিবেদক:বশির উদ্দিন আহমেদ । বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর তৃতীয় দফা অবরোধে ঢাকা শহরে হালকা কিছু যানবাহন চলছে ।
রিকসা সিএনজি আর মাঝেমধ্যে দুই একটা বাসের দেখা মিলছে । দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল পরিপূর্ণ ভাবে বন্ধ আছে । গাবতলী সায়েদাবাদ মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে কোন দূরপাল্লার বাস চলছে না ।যাত্রীশূণ্য এইসব ব্যাস্ততম এলাকা ।
পরিবহন শ্রমিকদের অলস ভঙ্গিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।যদিও কাউন্টার খোলা কিন্তু টিকিট কেনার কোন যাত্রী নেই ।এই ব্যাপারে ইউনিক পরিবহনের ম্যানেজারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান,যাত্রী নাই তাই বাস ছাড়ছে না ।যাত্রী না থাকলে খালি বাস নিয়ে তো আর রাস্তায় বের হওয়া যায় না।
একই চিত্র মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে।মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে অনেকেই কাউন্টার খুলে বসে আছেন । কিন্তু কোন যাত্রী নেই ।যাও দুই একজন আসছে কিন্তু তারা নিরাস হয়ে ফিরে যাচ্ছে। সৌখিন পরিবহনের কাউন্টারে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন,দুই একজন যাত্রী নিয়ে কি বাস চলে । এতে তো তেলের খরচই উঠবে না ।তাছাড়া রাস্তায় বের হলে কোথা থেকে কি হয়ে যায় তার ভয়ও তো আছে ।তাই যারা টিকিট কাটতে আসছে তাদের অপেক্ষা করতে বলি যদি সেই রকম যাত্রী পাওয়া যায় তখন দেখা যাবে ।
যাত্রী স্বপ্লতার কারন কি জিজ্ঞাসা করলে ঐ ব্যক্তি বলেন ,ভাইরে জানের মায়া সবারই আছে ।কে জেনেশুনে বিপদে পড়তে চায় । আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতো আর সারা রাস্তা পাহারা দিবে না আর দিলেই কি পাহারা দিয়ে কি বাস চালানো যায় ।যাত্রী উঠানামানোর ব্যাপার আছে না ।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকেও দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায় নি । দুই একটা বিচ্ছিন্ন ভাবে চলাচল করলেও তা কোন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের না ।লোকাল কিছু বাসকে চালানোর চেষ্টা চলছে ।তবে সাহস করে কেউ নামতে চাচ্ছে না ।
আবার যাত্রী শুণ্যতাও আছেই । হানিফ শ্যামলি ইউনিক এস আলম সহ অনেক কাউন্টারে ঘুরে দেখা গেছে কাউন্টার বন্ধ।কেউ অলস বসে আছে কেউ ঘুমাচ্ছে।দুই একজনের সাথে কথা বলে জানা গেলো তারা বাস চালাতে অনিচ্ছুক।বিশেষ করে পরিবহন সেক্টরে শ্রমিকরা কষ্ট সহ্য করতে রাজি কিন্তু বাস চালাতে রাজি নয় ।
কারন জিজ্ঞেস করলে বলেন,জীবনের চেয়ে বড় আর কিছু নাই ।তাছাড়া কেউ কেউ সরকারের সমালোচনা করে বলেন আমরা বিরোধী দলের দাবির সাথে একমত ।ভোট দিতে পারি না ।আর যে পরিমাণ জিনিস পত্রের দাম এতে করে বেঁচে থাকি দায় ।বাস চললেও যে টাকা পাই তা দিয়ে ভাত যোগার করাই কষ্ট।এতে বাস চলা আর না চলার মধ্য কোন পার্থক্য নেই ।
তাই এই অবরোধ কে আমরা নৈতিক ভাবে সমর্থন করছি । সরকারের পক্ষ থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে কিন্তু যাত্রী না থাকলে আমাদের কি করার আছে ।দেশের মানুষ ও মৌন সমর্থন দিচ্ছে বলে এই পরিবহন শ্রমিকদের দাবি ।শ্রীলংকায় সরকার পতনের পর সব জিনিসপত্রের দাম অর্ধেকে নেমে আসছে ।আমাদের দেশেও সরকার পতন হলে জিনিসপত্রের দাম অর্ধেকের চেয়ে বেশি নেমে আসবে বলে তাদের ধারনা ।