ডুয়েট প্রতিনিধি :
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), এ কুকুরের উপদ্রব অত্যধিক মাত্রায় বেড়ে গেছে। সকাল ও রাতের বেলা বিশ্ববিদ্যালয়ে বের হলেই কুকুরের আক্রমণের আশঙ্কা থাকে। অনেক সময় শিক্ষার্থীসহ অনেকেই কুকুরের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বলেও জানা গেছে। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সমগ্র বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে অসংখ্য কুকুরের বাস। তাছাড়া প্রায়ই নতুন করে কুকুরের দল বিশ্ববিদ্যালয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এরা দলবদ্ধভাবে বিভিন্ন স্থানে চলাফেরা করে। যেসব শিক্ষার্থী সকাল ও রাতের বেলা হাঁটতে বের হন তাদেরকে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হয়। কাউকে একা চলতে দেখলেই তেড়ে আসে এসব কুকুর। তবে লাইব্রেরী ভবন, নতুন একাডেমিক ভবন, মসজিদ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা হল, তাজউদ্দিন আহমেদ হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করা কুকুরগুলো বেশি উৎপাত করে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
রাফিউল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বেশ কিছু দিন আগে বিকেল ঘুড়তে আসা এক শিশুর হাতে ও পায়ে কামড় দিয়ে আহত করার চেষ্টা করে এ কুকুর গুলো অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও তার প্রিয় খেলনার জিনিস গুলো নিয়ে যায় কামড়িয়ে ।
মাহফুজ আকন্দ নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কিছুদিন আগে রাতের বেলা একদল কুকুর আমাকে আক্রমণের চেষ্টা করে। কোনোক্রমে বেঁচে গেছি। অনেকেই কুকুরের কামড়ের শিকার হচ্ছেন। তাই অবিলম্বে ক্যাম্পাস থেকে কুকুর বিতাড়ন করা উচিত।
সরেজমিনে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন, লাইব্রেরী ভবন, মসজিদ ও এর আশপাশের স্থানসমূহের বিভিন্ন স্থানে দলবদ্ধভাবে কুকুর অবস্থান করে। একেকটি দলে কুকুরের সংখ্যা ২ থেকে কখনও কখনও ৮-১০ টি পর্যন্ত দেখা যায়। এসব স্থানে আশ্রয় নেওয়া কুকুরের সংখ্যা প্রায় ডজন খানেক। এদের মধ্যে কয়েকটি রুগ্ন কুকুরও রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিভিন্ন সময়ে চলে আলোচনা-সমালোচনা। ফেসবুকে কুকুরের উপদ্রব নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন শিক্ষার্থীরা। তবে অনেককেই আবার ক্যাম্পাসে কুকুর থাকার পক্ষে মন্তব্য করতে দেখা যায়।
এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে মন্তব্য করেন, ‘কাল রাত (শুক্রবার) ১১টার সময় লাইব্রেরির সামনে ৪টা কুকুর আমাকে আক্রমণ করে। প্রায় ৫ মিনিট খারাপ অবস্থায় ছিলাম। পরে পেছনে কিছু ভাইয়েরা আসে তারপর আমি চলে আসি।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের যোগাযোগ করা হলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ এখনও দেখা যায়নি।