জীবিকা কোন লজ্জার নয় জীবন চলুক হালাল ব্যবসায় ।

৪০

 

অনন্ত সেলিম:জেলা প্রতিনিধি বগুড়া ।বগুড়া সদরের রামেশ্বরপুর গ্রামের পাশেই অবস্থিত নুরুলের বিল এই বিলে বর্ষা মৌসুমে শত-শত মানুষ শাপলা ফুলের মোথা বা গোড়ালী অর্থাৎ শালুক  বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন বলে জানাগেছে।

আবদুল হান্নান  রামেশ্বরপুর গ্রামের একজন কৃষক হলেও ভরা মৌসুমে তিনি এই  শালুকের ব্যবসা করেন।তিনি সারাদিন জ্বলে ডুবে শালুকের গোড়া সংগ্রহ করেন এবং তা বাজারজাত করার জন্য জেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় রাস্তায় ভারকরে ( ফেরী করে) এই শালুক বিক্রি করে থাকেন।

পাঁচ সদস্যের সংসার চালাতে এই শালুক বিক্রির ব্যবসা তাকে দরিদ্রতার যাতাকল থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করেছেন। আব্দুল হান্নান বলেন আমি এই ব্যবসা করে সুখে আছি দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে আছি আলহামদুলিল্লাহ।

তিনি আরও বলেন জীবিকা কোন লজ্জার নয় জীবন চলুক হালাল ব্যবসায় হোকনা সেটা শালুক বিক্রির ব্যবসা। পূঁজি ছারা শুধু শ্রম দিয়ে শাপলার ও পরে শালুক বিক্রি করা কোন লজ্জার কিছু না।

বাজারে আগত আবু জাহিদ তিনি একজন ক্রেতা তিনি জানান মৌসুমে তিনি এই ফল কেনেন আজ তার সামনে পরেছে সে এজন্য সে বেশি করে ক্রয় করলেন কারন সব সময় এই ফল চোখের সামনে পড়ে না। অন্য আরেক জন সুরুজ মিঞা(৬৭) তিনি জানান ছোট বেলায় দুবেলা এই শালুক খেয়ে জীবন ধারণ করতেন অভাবের কারনেই তারা এটা করতেন।তিনি একটা শালুক ৫ টাকায় ক্রয় করলেন।

এক জন ছাত্র সে চিনতেই পারছে না শালুক কি । জানার পর ব্যবহার বিধি জানতে চাইলেন। ব্যবসায়ী আবদুল হান্নান জানান গরম পানিতে সিদ্ধ করে, আগুনে পুড়ে, কড়াইয়ে ভেজেও খাওয়া যায়। শাপলা ফুলের তরকারি খাওয়া যায় এছারাও ফুলের মালা বানানো যায়।

শাপলাপাতা গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শাপলার মোথা শালুক হোক সম্ভবনাময় ব্যবসার  আগামী।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.