গাজীপুর কোনাবাড়ীতে সংবাদ প্রকাশের জেড়ে দুই সাংবাদিক কে হত্যার চেষ্টা, থানায় অভিযোগ দায়ের।

১৮

মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম,গাজীপুর।

সাংবাদিক নাদিমের রক্তের দাগ না শুকাতেই আবারও গাজীপুর কোনাবাড়ীতে দুই সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশ্যে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। দৈনিক সময়ের কথা প্রত্রিকার সাংবাদিক মোঃ মফিজুল ইসলাম ও মোঃ রহিমকে পত্রিকায় নিউজ প্রকাশের জেড়ে আক্রমন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিকদ্বয় জানান,১ নং আসামী অরন্যের সাথে আমরা পূর্ব পরিচিত, সেই সুবাদে সাংবাদিক মোঃ মফিজুল ইসলামকে একটি নিউজ প্রকাশ করার জন্য তথ্য দিবে বলে মোবাইলে ডাকে। আমরা সরল বিশ্বাসে তাদের কথা বিশ্বাস করে যেতে রাজি হই। সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে যমুনা গার্মেন্টস সংলগ্ন হক মেডিক্যালের ভিতরে আসতে বলে, তাদের কথামতো আমার সঙ্গী রহিমকে নিয়ে আমি ঐ স্থানে যাই। যাওয়ার পরে দেখতে পাই মাদক ব্যবসায়ী ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী মনির এবং তার সাঙ্গপাঙ্গ আলিম, তুশার, করম, হরি দাশ, ছনেট সহ ৪/৫ জন আগে থেকেই সেখানে বসে আছে। তারা এলাকায় বি এন পি জামাতের এজেন্ট হিসাবে বেশ পরিচিত।সাংবাদিক মফিজুল আরও বলেন-আমি ওখানে উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে সন্ত্রাসী মনির চেয়ার থেকে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে বলতে থাকে-আমাদের বিরুদ্ধে নিউজ করার চেষ্টা করছিস তোর এতবড় সাহস ?এই বলে আমাদেরকে কাঠের রুল দিয়ে বেদম পেটাতে থাকে। এতে আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক রক্তাক্ত যখম হয়। তাদের পকেটে থাকা নগদ সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আসামীদের এলোপাথাড়ি মারের আঘাতে রহিম এর এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোনটি ভেঙ্গে যায়। সাংবাদিকদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসলে আসামীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে বলে পরে সুযোগ মতো পাইলে তাদের মেরে লাশ গুম করে ফেলবে। আর যদি এ বিষয়ে থানা পুলিশ করে বা পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ করে তাহলে তোদের কি অবস্থা করবে তা পরে বুঝতে পাররে বলেও হুমকি দিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী এসে তাদেরকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পৌছে দেয়। পরে দৈনিক সময়ের কথা পত্রিকার সম্পাদক ও পরিবারের আত্মীয় স্বজনের সাথে আলাপ আলোচনা করে সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৪/৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.