কয়রায় আমনের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি ।

১৩

 

মোঃ বায়জিদ হোসেন,কয়রা খুলনা প্রতিনিধি ।খুলনার কয়রা উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন কৃষকরা। কয়রা এলাকায় আবাদি জমিগুলোতে এখন সোনালি ধানের ঝিলিক। বাতাসেও বইছে আমপনের সুঘ্রান। কৃষকের মুখে ফুটেছে ফসলের হাসি। কয়রা এলাকার মানুষের কাছে আশ্বিন ও কার্তিক মাসকে অভাবের মাস বলা হয়। অভাবের দুই মাস পেরিয়ে এখন অগ্রহায়ণ মাস চলছে।

ধানও বাড়িতে উঠতে শুরু করেছে। ওনা বৃষ্টি নানান পোকার আক্রমণ আর নানা বাধা পেরিয়ে আমন ধানের বাম্পার ফলন আশা করছেন এখানকার স্থানীয় কৃষকরা।

সোনালী ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাবেন এখানকার কৃষকরা। খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে সোনালী স্বপ্ন ঘরে তোলা সংগ্রাম।

কয়রার গ্রামীন অর্থনীতিতে আমন ধান নির্ভর অর্থনীতির সুবাতাস বইছে। কৃষক এবং কৃষি কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ধান কাটা, বাছা, গোছানো এবং মাড়াই করার কাজে নিয়োজিত। উৎপাদনের ঘাটতি নেই, বলা চলে। এবার কয়রায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে, কিন্তু ধানের দাম কিছুটা কম এমন হতাশা ময় কথা বললেন মহারাজপুরের কৃষক আঃ সালাম গাজী।

তিনি জানান,ধান কাটা শুরু করছি। আল্লাহর রহমতে ধান ভালোই দেখা যাচ্ছে। ধানের দাম ও শ্রমিকের দাম ন্যায্য থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।

কয়রা উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার কয়রা উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ হাজার হেক্টর আবাদি জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও, আমন চাষ হয়েছে ১৬২৫০ হেক্টর জমিতে।

কয়রা কৃষি অফিসার জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন
লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে আমরা অনেক বেশি অর্জন করেছি। কয়রায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে । এই বাম্পার ফলনের জন্য কৃষকদেরকে উৎসাহিত করা হয়েছে। ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। লবণাক্ত সহিংস জাতগুলি তাদেরকে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে এবং চাষ করানো হয়েছে। কয়রা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা ও ধান গবেষণাগার তারা অনেকগুলা জাত নিয়ে আসছিল। যার ফলে সবকিছু মিলে সকলের সহযোগিতায় আমন ধানের বাম্পার ফলন সম্ভব হয়েছে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.