সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা আগুন নিয়ে খেলছেন : রিজভী

রাসেল আদিত্য,নারায়ণগঞ্জ থেকে:

মুন্সীগন্জে বিএনপি – পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত শহিদুল ইসলাম শাওন ইস্যুতে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচীতে গতকাল মুন্সীগন্জ বিএনপিকে
কোন কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়নি।স্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ বিশেষ করে সেদিনের সংঘর্ষের নেপথ্যের মাষ্টার মাইন্ড হিসেবে অনেকের কাছে অভিযুক্ত সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও জেলার শীর্ষ নেতা সাবেক সাংসদ আব্দুল হাইয়ের ছোট ভাই মহিউদ্দিন আহমেদ মোবাইলে এই প্রতিবেদককে গ্রেফতার এড়াতে তাঁদের এই নিরবতা বলে মন্তব্য করেন।কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য মানতে পারছেনা তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মি সমর্থকরা।তাঁরা এটা দায় এড়ানোর অযুহাত বলে প্রশ্ন রাখেন,মামলা হামলার ভয়ে তাঁদের মতো
নেতারা যদি গর্তে লুকিয়ে থাকবেন তাহলে কেনো মিছিল মিটিংয়ে আমাদের ডাকেন?সেদিন তাঁর ডাকেই শাওনরা গিয়েছিলো এটা ভুলে গেলেন তিনি?সদরের পঞ্চসার ইউনিয়ন,মিরকাদিম পৌর এলাকার নেতাকর্মীরা গতকালের নিরবতায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গতকাল শাওনের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়,পরিবারের
সকলেই শোকে মূহ্যমান।শাওনকে দাফনের রাতে কেন্দ্রীয় নেতা রিজভীর সাথে স্থানীয় বিএনপির কেউ কেউ এলেও তারপর থেকে কেউ আসেনি শোকাহত পরিবারটির খোঁজ নিতে বলে জানান প্রতিবেশী সালেহা বেগম সহ গ্রামের অনেকে। শাওনকে তাঁর দাদার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে।শাওনের মৃত্যুকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও বেদনার
বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও।
এদিকে মুন্সীগন্জের নিরবতার বিপরীত চিত্র ছিলো নারায়ণগঞ্জে।শাওন সহ ভোলায় দুইজন ও নারায়ণগঞ্জে নিহতদের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ লেখা ব্যানারে চাষাঢ়া শহিদ মিনারে সমাবেশ আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি।জেলার ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।সমাবেশে ব্যাপক
নেতাকর্মীদের সমাগম দেখা গেছে।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে রিজভী বলেন,সরকারের মন্ত্রী
ও নেতারা আগুন নিয়ে খেলছেন।এর পরিনতি ভয়ানক বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।তিনি অভিযোগ করে বলেন,পুলিশের এক সদস্যের গুলিতে শাওন মারা গেছে,তিনি শাওনকে বীর হিসেবে আখ্যায়িত করেন।রিজভী আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে আসার সময় অনেকেই আমাকে বলেছেন জায়গাটি ভালো না। এ শহরের মানুষ ভালো। নারায়ণগঞ্জের মানুষ অত্যন্ত অতিথিপরায়ণ। তবে দুষ্ট চক্র প্রত্যেকটি স্থানেই থাকে। এরাই শীতলক্ষ্যায় মানুষের পেটে ইট ঢুকিয়ে হত্যা করে। তারা ত্বকীর মতো ছেলেকে হত্যা করে। প্রশাসন মনে করেছে শাওনের মত একজনকে হত্যা করলেই বিএনপি ভয় পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ প্রশাসন জানে না বিএনপি পুলিশের গুলির মুখেও মাথা উঁচু করে থাকে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে এসময় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.