রাজশাহী পরিচ্ছন্ন হাসপাতালেও মশার উৎপাতে ভোগান্তি |

১৭

 

মির্জা তুষার আহমেদ, রাজশাহী

জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রোগী ভর্তি হতে শুরু করে। কয়েক দিনের ব্যবধানে রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় ডেঙ্গু বিশেষায়িত ওয়ার্ড খুলতে বাধ্য হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপর একে একে ৫টি ওয়ার্ড ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়। ৫টি ওয়ার্ডই এখন ডেঙ্গু রোগীতে পূর্ণ। বর্তমানে ৮৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতির কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুরু থেকে পুরো হাসপাতালকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে জোর দেন। কিন্তু অবাক করা

বিষয় হলো ওয়ার্ডগুলোতে মশার উৎপাত বিন্দুমাত্র কমেনি। এতে ২৪ ঘণ্টাই মশারির নিচে কাটছে ডেঙ্গু চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগে অন্য সাধারণ রোগীরাও। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। সরেজমিনে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, একজন রোগীও মশারির বাইরে বের হচ্ছেন না। একান্তই জরুরি প্রয়োজন এবং মেডিকেল টেস্টের জন্য মশারির বাইরে বের হলেও মশা যেন ছুঁয়ে না বসে সেদিকে তৎপর রোগী ও তার

স্বজনরা। এমনকি দায়িত্বরত ডাক্তারও মশারির পর্দার বাইরে, প্রয়োজনে মশারির ভেতরে গিয়ে রোগী দেখছেন। এ বিষয়ে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সরাসরি যুক্ত একাধিক ব্যক্তি (নাম- পরিচয় প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক) জানান, হাসপাতালে মশার উৎপাত প্রচুর। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর কানের কাছে ভনভন শব্দ রীতিমতো আতঙ্কের বিষয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে সজাগ। মশারি, এরোসলসহ সবকিছুই সাপ্লাই দিচ্ছেন। কিন্তু মশা তো নাছোড়বান্দা। এরোসল দিয়েও কাজ হয় না। মশারিই প্রধান ভরসা। রোগীর স্বজনরা বলছেন, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে এসে অনেক রোগীর স্বজনও ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছেন। কারণ ডেঙ্গু রোগী মশারিতে ২৪ ঘণ্টা আবদ্ধ থাকলেও স্বজন হিসেবে জায়গা স্বল্পতার কারণে অনেক সময় মশারি টাঙানোর সুযোগ থাকে না। হাসপাতাল এলাকায় প্রচুর মশা। এটার অবসান প্রয়োজন। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মেদ জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছেই। বর্তমানে ৮৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত ৫ জন মারা গেছেন। আর ডেঙ্গু বিষয়টি মাথায় রেখে পুরো হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার- পরিভ্রাতার বিষয়ে তিনি সরাসরি তদারকি করে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ বিষয়ে রাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন ডলার বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব এরিয়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ওই প্রতিষ্ঠানকেই করতে হবে। সিটি করপোরেশন করে দিবে না। তবে এর বাইরে কেউ সহযোগিতা চাইলে তারা করবেন।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.