মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে কি শাস্তি হতে পারে বসুন্ধরার এমডির!

২২

 

মেহেদী হাসান সজীব, ডেস্ক রিপোর্টঃ

বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগের ঘটনায় পুরো দেশে এখন তোলপার। এঘটনায় মামলা হওয়ার পর থেকেই পলাতক আনভীর। তার দেশত্যাগেও আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু মামলার পর দুইদিন চলে গেলেও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ সায়েম সোবহানেরও দেশ ত্যাগের গুজব থাকলেও পুলিশ বলছে সে দেশেই আছে৷

অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,” মুনিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কারুর কোনো অপরাধ থাকলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে৷”
এরই মধ্যে গতকাল বুধবার সায়েম সোবাহান কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন। আজ সেটির জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে বসুন্ধরার এমডির বিরুদ্ধে যেসব ধারায় মামলা হয়েছে তাতে তার কি ধরনের শাস্তি হতে পারে এই বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবীরা জানান, দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে৷ আর এই ধারায় বলা হয়েছে কাউকে যদি কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচনার অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড৷ এর সঙ্গে অর্থ দণ্ড ও হতে পারে৷ সুপ্রিম কের্টের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু জানান, দন্ডবিধির ১০৭ ধারায় এই প্ররোচনার ব্যাখ্যা আছে৷ আর তা হলো-১. কোনো অপরাধমূলকাজে হুকুম দেয়া বা অপরাধ করতে উদ্বুদ্ধ করা৷ ২. কোনো একটি অপরাধের ষড়যন্ত্র করা এবং ৩. কাউকে কোনো অপরাধ করতে ইচ্ছাকৃতভাকে সহায়তা করা৷

দণ্ডবিধির ৩০৯ ধরায় কোনো ব্যক্তি যদি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তাহলে তার শাস্তির বিধান আছে৷ সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড৷ এর সঙ্গে অর্থদণ্ডও হতে পারে৷ তবে কেউ আত্মহত্যা করে ফেললে তাকে আর শাস্তির আওতায় আনার সুযোগ থাকে না৷ সুপ্রিম কোর্টের আরেকজন আইনজীবী ইশরাত হাসান জানান,‘‘ কোনো ব্যক্তিকে যদি এমনভাবে অপমান করা হয় বা চাপ প্রয়োগ করা হয় যা তাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করে তাহলে সেটা প্ররোচনা হিসেবে গণ্য করা হবে৷”

ইশরাত হাসান জানান,” যদি কোনো নারী যৌন হয়রানি, সম্ভ্রমহানি ও ধর্ষণের শিকার হয়ে পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেন তাহলে এর বিচার হবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক) ধারায়৷ এখানেও সর্বোচ্চ শান্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড৷ কিন্তু সর্বনিম্ন শাস্তি পাঁচ বছরের কম কারাদণ্ড হতে পারবেনা৷”

উল্লেখ্য গত সোমবার গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়৷ বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভীর ওই বাসায় আসা যাওয়া করতেন৷ মামলার এজাহারে নিহতের বড় বোন নুশরাত জাহান অভিযোগ করেছেন সায়েম সোবহানের সাথে মুনিয়ার সম্পর্ক ছিলো৷ সায়েম সোবহানই তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন৷

তথ্যসূত্র- ডয়েচে ভেলে

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.