দিল্লি কি জোর করে নির্বাচন করতে বলে দিয়েছে…মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

৪৯

বশির উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা।

আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে পেশাজীবীদের কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।২২ টি পেশাজীবী সংগঠনের সমন্বয়ে আজকের এই কনভেনশন। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ এ এম জেড জাহিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কনভেনশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়াও আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিএনপি ও বিভিন্ন সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন তলে তলে সব আপোষ হয়ে গেছে। দিল্লি সব ম্যানেজ করে ফেলেছে।তাহলে আমার প্রশ্ন দিল্লি কি আপনাদের কে জোর করে ইলেকশন করতে বলেছে?দেশের সব রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে আপনাদের ইচ্ছে মতো সাজানো‌ নির্বাচন করতে কি দিল্লি বলেছে? যদি এটা বলে থাকে তবে বলেন? আমরাও দেখবো।তিনি বলেন‌,সারা পৃথিবী জানে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন হয় নি ।আপনারা ভোট চুরি করে ,দিনের ভোট রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স ভরে রেখে নির্বাচন করেছেন।আপনাদের উপর আমাদের যেমন আস্হা নেই তেমনি বিদেশি বন্ধু প্রতিম দেশগুলোর ও আস্হা নেই । তাই যত‌ই ছলচাতুরি করেন এবার কাজ হবে না। বিদায় নিতেই হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ওবায়দুল কাদের একেক সময় একেক রকম কথা বলেন । এই সব দলের নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু যত‌ই চেষ্টা করেন কোন লাভ হবে না। জনগণ এবার টেনেহিঁচড়ে আপনাদের নামাবে। দ্রব্যমূল্যোর উর্ধ্বগতি সহ দেশের সকল ব্যাংক লুটপাট করে শেষ করে ফেলেছেন।দিনকে দিন রিজার্ভ কমছে। সামনে অর্থনীতির জন্য ভয়াবহ দুঃসংবাদ আসছে এর মধ্যে আপনারা পায়ে পাড়া দিয়ে আমেরিকার সাথে ঝগড়া করে দেশের অর্থনীতিকে আরো ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছেন। আমেরিকা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন , আমেরিকার বাজার হারালে এই দেশের অর্থনীতি পথে বসে যাবে। তাই এখনও সময় আছে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় পালানোর পথ ও খুঁজে পাবেন না ।

লন্ডনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন‌, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে দেশে বিচার বিভাগ বলতে কিছু নাই। তিনি যা বলেন ,যা চান তাই রায় হয় আদালত থেকে । হাসিনার কথাই আইন, তার রায়‌ই রায় ।তিনি বলেন, তাহলে আর আদালত রেখে কি লাভ? নিজেকে এই দেশের রাজা ঘোষণা করে দিন । এবং আপনি‌ই সব মামলার রায় দিয়ে দিন। প্রধানমন্ত্রীর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানাতেও লজ্জা লাগে। মানুষ এতটা নীচ হয় কি করে?

দূরহ দুঃশাসন ‘এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত আজকের এই কনভেনশন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় । আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা ডঃ ম‌ঈন খান, জেএসডি আ সম রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল ইব্রাহিম, বিএনপির আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহ আরো অনেকেই।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.