মোঃ রেশাদুল হক, ডেস্ক রিপোর্ট।।
নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধীতা করে নেয়া কর্মসূচি ও হরতালে সারাদেশে হেফাজত কর্মীদের পুলিশি হামলার প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা অনুসারে আজকে জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে সংগঠনটির নেতার্মীরা।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদের উত্তর পাশের গেটে সীমানার ভেতরে সিঁড়িতে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা।
সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব।
সেখানে বক্তৃতা রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মুহাম্মাদ মামুনুল হক, হেফাজতের সহকারী মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন, হেফাজতের নায়েবে আমির আব্দুর রব, নায়েবে আমির আব্দুল কাদের সহ ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, ‘যারা মাদরাসায় হামলা করলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ককটেল মারলেন, গুলি করে মানুষ হত্যা করলেন, তাদের কিছুই হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘরে কোনো পুরুষ থাকতে পারছেন না তাদের মধ্যে গ্রেফতার আতংক কাজ করছে। কিন্তু প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার হচ্ছে না। উল্টো ওইদিনের ঘটনায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার-হয়রানি করা হচ্ছে।
আমরা প্রকৃত অপরাধীর বিচার চাই।
মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেন, ‘সরকার হেফাজতের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হচ্ছে। মাদরাসা থেকে ছুরি উদ্ধার করে ছাত্রদের সন্ত্রাসী বানাতে চাচ্ছে। সেগুলো কোরবানির ছুরি ছিল,যেগুলো ঈদুল আজহার জন্য দেশের পশুপাখি কোরবানি দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
হেফাজতের সহকারী মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ‘ভারতের মান রক্ষায় ২০ জন ভাইকে শহীদ করা হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদিকে সুরক্ষিত রাখতে বাঙালির তাজাপ্রাণ কেড়ে নেয়া হলো।’
ওদিকে চট্রগ্রামের হাটহাজারীতে দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। ফলে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়ায় সড়কটির দুইপশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার এসআই আলমগীর হোসেন জানান, `জুমার নামাজের পর হাটহাজারী মাদ্রাসার সামনে ডাকবাংলোতে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাই সড়কটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিত স্বাভাবিক হলে সড়কে যান চলাচল পুনরায় চালু করা হবে।’