জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণে কলম সৈনিকদের সাংবাদিক সম্মেলন।

৩৩

গোলাম মাওলা মিজান,মিরপুর ঢাকা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে কবি,লেখকদের শিল্প সাহিত্যচর্চার জন্যে বহুতল ভবন চেয়ে খোলা চিঠি।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, মানবতার অগ্রদূত, দেশরত্ন প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা, আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

বিশ্ব ব্যাপী করোনা মহামারিতেও বাংলাদেশে আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ নি:সন্দেহে প্রশংসনীয় ও উল্লেখ্যযোগ্য–
তাই আমি ও আমরা কবি লেখক শিল্প সাহিত্যপ্রিয় কলম সৈনিকরা দেশজাতির ভাষা সংরক্ষণবাদী সংগ্রামী আলোচক ও বিশ্লেষক এবং শিক্ষা সাহিত্যের আদিপত্তের ইতিহাস সংরক্ষক সেমতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে দাবী- কবি লেখকরা দেশজাতির জ্ঞানগর্ভ!
তাই কবি ও লেখকদের শিল্প সাহিত্যচর্চার জন্যে বহুতল বিশিষ্ট কবি ভবন চাই।

পুরো ব্যাপারটা আরেকটু শুদ্ধ করে দেই – হ্যাঁ এখানে আরও কথা আছে – যে কবিতা আমার প্রকৃত সাহিত্য, সংস্কৃতি, প্রকৃতি, অর্থনীতি, কৃষ্টি, ধর্ম, আদর্শ ও নিয়মনীতি স্বাধীনতার বুনন করা বীজ থেকে ছিটকে পড়বে সে কবিতার উপর আন্দোলনমূলক একটি সেন্সর বোর্ডও থাকবে
সাথে। আর যারা এ কবিতার জন্য বেশী বেশী অবদান রাখবে তাদের জন্য বাংলার কবি ও কাব্য তহবিল ট্রাস্টও গঠন উচিত বলে আমি মনেকরি। কারণ সবাই যেকোন জায়গায় কর্মস্থল হিসেবে একটি অবলম্বন খুঁজে পায়। যেখানে একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন এর নিশ্চিয়তা ফিরে পায় – অতীব দু:খের বিষয় কবিরা যা পায়না। সংসারের আপনজনেরা এই কবিকে দেখে ভয়ার্তচিত্তে বাধ্য হয়ে ভাবে, এতো পরিবারকে খুন করতে, রাস্তায় নামাতে উল্টা পথে পা বাড়িয়েছে। হ্যাঁ তাই হচ্ছে সমাজে।

কবি গোলাম মাওলা মিজানের প্রতিবাদী কথা সাহিত্য কবিতা-“লিখতে কেন বিড়ম্বনা” ???

আজ আমি আর লিখবো কি লেখবো না?
জাহাপনা,
আমার সময় শ্রমের পটে লিখতে আছে অনেক বিড়ম্বনা।
সংসার পটাতে মান মর্যাদায় হারমানাতে পারছিনা যে আর,
নেশায় ধরেছে পেশাকে হারমানাতে ব্যর্থতায় বারবার।

একবার ভাবি লিখবোনা কোনো কিছুই আর,
কি আছে লেখকের মানমর্যাদা চাহিবার।
তবুও লিখে যাই আমিতো সর্বময় মানবতার,
সত্য মিথ্যার প্রতিবাদ লেখি আর আদর্শ যা হবার।

মাবাবা ভাইবোন সঙ্গীসাথী স্ত্রী আর যতো আত্মীয় স্বজন,
সবাই আমাকে বলে কি পেয়েছো লিখে মিটছে কি প্রয়োজন।
আসল কথা হলো আমাদের দেশ বাংলাদেশ,
সৃষ্টির শ্রষ্টার নেই দাম শুধু ক্লান্তিকর অবশেষ।

আমি চাই যে ব্যক্তি তার সময় শ্রম জাতির উদ্দেশ্যে করিবে ব্যয়,
তারা কেন আজ নিরুপায় শিক্ষা সাহিত্যের প্লাটফরমে মানমর্যাদার অপেক্ষায়।
কবি সাহিত্যিক আর যতো লেখক কালের স্মৃতির ধারা বহিপ্রকাশ পাঠকের অন্তরায়,
প্রেমাস্পদে পথের দিশায় আদর্শ নিয়ম নীতি ভুবনে বার্তায়।

যার কলমে রক্ষিত হবে স্মৃতি প্রকাশ পাবে তার কৃতি,
তাকে আজ করবো বরণ নয়তো স্বরণ জাগ্রত হোক পাঠক পরবর্তী বংশধর প্রভৃতি।
আমি আজ লিখে যাই কলমে চেতনাকে প্রেরণার সহায় নির্ধীদায় অজানাকে জানাই,
জেগে উঠুক মানব সমাজ শিশু কিশোরদের উদ্দীপনা আমরাই সাহিত্যের পাতায় ইতিহাস রটাই।

অবশেষে তারা পাগলের খাতায় নাম লিখিয়ে শেষ পর্যন্ত অত্যন্ত কষ্ট ও দু:খের সহিত মৃত্যুবরণ করে যা হ্রদয়বিদারক। এমনকি গোটা জাতিকে পরিশেষে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত করে তুলে।
অতএব, মাননীয় সরকার প্রধানকে অনুরোধ করবো, এর উপর গবেষণা ও ফিউচার ট্রাষ্ট বোর্ড গঠন করে দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত ও প্রতিক্ষীত এ প্রবঞ্চনা থেকে গোটা জাতিকে মু্ক্তি দেয়া হোক। আর তোমারা যারা এব্যাপারে দেশের কবি ও সাহিত্য চর্চ্চাকে উজ্জীবিত করার চেষ্টায় অবিরত তাদের জন্যে আন্তরিক দোয়া ও ভালবাসা রইলো অনেক শুভ কামনা।
অতএব মহাত্নের নিকট আকুল আবেদন সকল কবি ও লেখকদে পক্ষে দেশ ও জাতির শিক্ষা সাহিত্য শিল্প এবং ভাষা সংরক্ষণের দাবী বাস্তবায়ন করি একান্ত মর্জি কামনা করছি।
নিবেদকঃ
সকল কবি ও লেখক এবং বাংলা ভাষা সংরক্ষণ সাহিত্য শিল্প’র পক্ষে,
জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিভিন্ন কবি সাহিত্যপ্রিয় কলম সৈনিকরা ভক্তব‍্য তুলে ধরে একমত পোষণ করেন।
জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে শুক্রবার (১৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক কাজী ছাব্বীর বলেন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমাদের জাতির অমূল্য সম্পদ। এগুলোকে রক্ষা ও বিকাশের জন্য প্রয়োজনএকটি পৃথক জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর। তিনি বলেন, জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা হলে এটি সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এটি সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করবে, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মীদেরকে প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা এবং সাহিত্য ও সম্মাননা প্রদান করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সমন্বয়ক রওশন আরা রুশো, মুখপাত্র নীলা মল্লিক, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন, মাহমুদুল হাসান নিজামী, নাসিমা বানু করিম, ইভা আলমাস, প্রফেসর ডক্টর সন্দীপক মল্লিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজুর চৌধুরী, শেখ ইকবাল হাসান স্বপন, ক্রীড়াবিদ রেহেনা পারভীন, রবিউল মাশরাফি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ হালিম ঢালী, শাহী সবুর, নজরুল বাঙালি, আশিষ খীসা ও গোলাম মাওলা মিজান প্রমূখ,এ সময় সরকারের কাছে পৃথক জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।

১) বিদ্যমান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়—এর জনবল দিয়েই একটি পৃথক “জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর” প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। “সাহিত্যকে সমাজ বদলের হাতিয়ার” হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে, সাহিত্য সেবায় সম্পৃক্তদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা।
২) সাহিত্য সেবায় সম্পৃক্ত সৃজনশীল ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার পরিবেশ বান্ধব একটি “সাহিত্য পল্লী” প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া সৃজনশীল সাহিত্যসেবীদের সাম্মানিক প্রদান ও সাহিত্য কর্ম সংরক্ষণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
৩) শুদ্ধ উচ্চারণ এবং বাংলা বানান ও বর্ণমালা সহজীকরণে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহসহ সকল ভাষাবিজ্ঞানীদের সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করা এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সাহিত্য গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা এবং মানসিক পরিশুদ্ধির জন্য প্রতিটি সরকারী—বেসরকারী অফিসসমূহে ছোট পরিসরে হলেও পাঠাগারের ব্যবস্থা করা।
৪) দেশের প্রতিটি শহরে বহুতল ভবন, মার্কেট নির্মাণের নকশা অনুমোদনকালে বাধ্যতামূলকভাবে গণপাঠাগার / গণগ্রন্থাগারের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘরের ব্যবস্থা করা।
৫) উদীয়মান লেখকদের সাহিত্য চর্চার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়মিত ‘লিট্ল ম্যাগাজিন’ প্রকাশের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহিত করা।
৬) প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সাহিত্যকর্মে ঢাকায় আসা লেখকদের জন্য সাশ্রয়ীব্যয়ে, নিরাপদ রাত্রিযাপনে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় একটি “সাহিত্য ভবন” নির্মাণ করা।
৭) দলীয় প্রভাবমুক্ত হয়ে কবিতা, ছড়া, গল্প, উপন্যাসসহ যাবতীয় বিষয় ভিত্তিক প্রকাশিত বইসমূহ যাচাই—বাছাই পূর্বক লেখকদেরকে সরকারিভাবে বাৎসরিক এককালীন অনুদানসহ সনদ প্রদান করার ‌ পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
৮) তালিকাভুক্ত লেখকদের সরকারি, বেসরকারি সকল হাসপাতালে বিনামূল্যে উন্নত চিকিৎসা পরিসেবা নিশ্চিত করা এবং তাদের সন্তানদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অবৈতনিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা।

৯) সৃজনশীল বই প্রকাশে লেখকদের সহজ কিস্তিতে সুদবিহীন ঋণ প্রদান এবং জীবনাবসানের পর তালিকাভুক্ত লেখকদের পরিবারকে এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা করা।
১০) সৃজনশীল প্রকাশনার পাশাপাশি নিজস্ব বই প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে লেখকদের নামে একুশে গ্রন্থমেলায় স্টল বরাদ্দসহ, প্রতিটি জেলা, উপজেলায় বাৎসরিক বই মেলার আয়োজন করা।
১১) সাহিত্যসেবামূলক কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে সাহিত্য বিষয়ক সভা, সমাবেশ, সেমিনারে অংশ গ্রহণে জেলা, উপজেলায় যাতায়াতে তালিকাভুক্ত লেখকদের জন্য সরকারিভাবে পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
১২) সাহিত্য সংগঠন সমূহের রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সাহিত্য সংগঠন—এর বাৎসরিক অনুষ্ঠানগুলিতে সরকারিভাবে অনুদান প্রদান করা।
১৩) মাসিক কবিতা, ছড়া, গল্প, প্রবন্ধ, ও উপন্যাস প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ লেখক কবি, গীতিকার, সাহিত্যিক, নাট্যকার, ছড়াকার, গল্পকার প্রাবন্ধিক নির্বাচন করে সনদ প্রদানসহ আর্থিক অনুদানে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১৪) বাংলাদেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীদের নিজস্ব ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি লালনে দেশের আঞ্চলিক সাহিত্য এবং সংস্কৃতি ইত্যাদি বিকাশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
১৫) সর্বোপরি উপরোল্লিখিত ন্যায্য দাবী দাওয়া পূরণের লক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নামের সাথে ‘সাহিত্য’কে সংযোজন করে “সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়” হিসেবে নামকরণের মাধ্যমে সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর অধীনে পৃথক “জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর” প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

কাজী ছাব্বীর,
প্রধান সমন্বয়ক,
জাতীয় সাহিত্য অধিদপ্তর বাস্তবায়ন পরিষদের সমন্বয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.