আল- মামুন,বারোবাজার,কালীগঞ্জ-ঝিনাইদহ।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় পুত্রবধু জান্নাতুন নুর মৌমিতাকে আত্মহত্যায় বাধ্য করার অভিযোগে তার পিতা মাষ্টার রেজাউল ইসলামের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মৌমিতার শ্বাশুরি জাহানারা বেগম।
৩১ জুলাই (সোমবার) দুপুরে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনকারী জাহনারা বেগম উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের জনৈক রবিউল ইসলামের স্ত্রী।
লিখিত এক বক্তব্যে জাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে মো. রাজিব হোসেনের (২৪) সাথে একই ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের রেজাউল ইসলামের কন্যা জান্নাতুন নুর মৌমিতার (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ওরা সবার অজান্তে নিজেরাই বিয়ে করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ছেলে-মেয়েদের সুখের কথা চিন্তা করে আমরা এ বিয়ে মেনে নেই এবং মেয়ের পিতা রেজাউল ইসলামের কাছে মেনে নেয়ার প্রস্তাব নিয়ে যাই। এসময় রেজাউল ইসলাম আমাদেরকে চরম অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। কয়েকদিন পর রেজাউল ইসলাম তার মেয়েকে তাদের সংসার ভাংতে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করে এতে করে আমরাও রাজিবকে বিদেশে পাঠিয়ে দেই। সম্প্রতি রাজিব বিদেশে থাকা অবস্থায় মৌমিতা আবারও পালিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসে। তখন আমি মেয়ের বাবা রেজাউল ইসলামকে খবর দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে মৌমিতকে তার হাতে তুলে দেই। পরবর্তিতে রাজিব ছুটিতে বাড়ি আসলে মৌমিতা আবারও রাজিবের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে । অত:পর মৌমিতার বাবা রেজাউল ইসলাম ও ভগ্নিপতি শিমুল মিলে মৌমিতাকে নির্যাতন করে জোরপূর্বক আবারও তালাকনামায় সাক্ষর করায়। এ ঘটনার একদিন পর মৌমিতা আবার পালিয়ে এসে রাজিবকে বিয়ে করে এবং তারা ২ মাস যাবৎ সংসার করে। এক পর্যায়ে মৌমিতার বাবা রেজাউল বিয়ে মেনে নেয়ার কথা বলে কৌশলে মৌমিতাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তালাকনামায় পুনরায় স্বাক্ষর করিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেন। এ ঘটনায় রাজিব মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং আবারও বিদেশে চলে যায়।
এদিকে অন্যত্র বিয়ে মেনে নিতে না পারায় গত ২৯ জুলাই বিষপানে আত্মহত্যা করে মৌমিতা। মৌমিতা নিজের ইচ্ছায় আত্মহত্যা করেনি , বরং তাকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে তার পিতা রেজাউল ইসলাম।
জাহানারা বেগম আরও অভিযোগ করে বলেন, রেজাউল ইসলাম আমাদের পরিবারকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে হয়রানি করেছে। এখনও হয়রানি করে যাচ্ছে। আমরা রেজাউল ইসলামের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যদিয়ে দিনাতিপাত করছি।