আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে বনকোয়া গ্রামীণ ডাকঘরে।

৪৫

মোঃ সজীব হোসাইন, বিভাগীয় প্রধান- ময়মনসিংহ।

ডিজিটাল যুগে পদার্পণের সাথেসাথে ডাক বিভাগেও আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। আগে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডাক বিভাগ শুধু চিঠি আদানপ্রদানের কাজ করলেও বর্তমানে ডাক বিভাগ, চিঠি আদানপ্রদান সহ টাকা ও মালপত্রও আদান-প্রদান করে থাকে। আগে এনালগ পদ্ধতি থাকলেও বর্তমানের প্রায় সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। অতিতে প্রান্তিক পর্যায়ে শুধু উপজেলা সদরে ডাক বিভাগ এর ডাকঘরের নিজস্ব জায়গায় অফিস ছিল। বর্তমানে এই নিজস্ব অফিস গ্রামীণ পর্যায়েও চলে আসছে। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডেও রয়েছে নিজস্ব ভবনে গ্রামীণ ডাকঘর। মৃত কলিম উদ্দিন মুন্সির ছেলে জনাব লেহাজ উদ্দিন এর দান করা ২ শতাংশ জমির উপর গ্রামীণ ডাকঘর এর ভবনটি নির্মিত হয়েছে। এই ডাকঘরে একজন পোস্ট মাষ্টার- মোঃ মোতাহার হোসেন মুক্তা, ও চিঠি বিলিকারী- আবু বকর সিদ্দিক রয়েছেন। এই ডাকঘরটি উপজেলা সাব-হেড ডাকঘর নামেও পরিচিত। এই ডাকঘরটি ১নং উথুরা ইউনিয়নের (০১) নারাঙ্গী (০২) উথুরা (০৩) কৈয়াদী (০৪) মেনজেনা- গ্রামীণ ডাকঘর এবং ২নং মেদুয়ারী ইউনিয়নের (০১) বরাইদ (০২) বনকোয়া গ্রামীণ ডাকঘর এর কেন্দ্রস্থল বা হেড অফিস হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ৬টি গ্রামীণ ডাকঘরের চিঠি বিলিকারীরা এই অফিসে চিঠি নিয়ে আসে এবং এখান থেকে চিঠি নিয়ে যায়। এই অফিসে আধুনিক সকল প্রকার মেশিন রয়েছে। ডাকঘর এর সকল কার্যক্রম দিনের ভেলায় হয়। পোষ্ট মাষ্টার মোঃ মোতাহার হোসেন মুক্তা এর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দিয়ে কাজ করা হয়। পোস্ট মাষ্টার বলেন, “এই অফিসে সকল কিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলমান রয়েছে। সরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ লাইনের ব্যবস্থা করা অতি জরুরি।”

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.