১৪৭ ময়মনসিংহ -২ আসনে ভোটারদের মাঝে ব্যপক উচ্ছ্বাস ।

২১

 

জাহাঙ্গীর আলম ,তারাকান্দা (ময়মনসিংহ ) সংবাদদাতা।
১৪৭ ময়মনসিংহ -২ আসনে ভোটারদের মাঝে ব্যপক উচ্ছ্বাস। দেশজুড়ে বইছে নির্বাচনী হাওয়া, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। চালাচ্ছেন গণসংযোগ।

চাইছেন ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দলীয় কোন্দল দ্বন্দ্ব ভেঙ্গে এখানকার প্রবীণ-নবীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এখন মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করতেই এখন তারা ব্যস্ত সময় পাড় করছেন।

দলীয় কোন্দল দ্বন্দ্ব মিটিয়ে প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ব্যাপক প্রচারণায় নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে বাকিরা ঢিমেতালে সময় পাড় করছে । এ শরীফ আহমেদ যেনো সে শরীফ আহমেদ নয়। তিনি বুঝে গেছেন কাকে কিভাবে হাওয়া দিতে হয় মন জয় করতে হয় ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেখানে দরজায় কড়া নাড়ছে ঠিক তেমন সময় মাঠ চষে বেড়াছেন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। নৌকার ব্যাপক গণসংযোগের কারনেই নির্বাচনের আমেজ তৈরি হয়েছে খুব দ্রুত সময়ের মাঝে।

ব্যাপক প্রচারণায় নৌকার পালে হাওয়া লেগেছে তাই পাল তুলে নৌকার জয়ের দিকে দ্রুত ছুুটে চলছে এমনটায় সাধারন মানুষ মনে করছেন। এছাড়া পোস্টার, হ্যান্ডবিল এবং অন্যান্য প্রচারণা কার্যক্রমেও একক আধিপত্য বজায় রেখেছে নৌকা। অবশ্য বেশকিছু জায়গায় অবস্থান রয়েছে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর।
এমন প্রেক্ষাপটে অধিকাংশ এলাকার সাধারণ মানুষ বলছেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকেই নৌকা মনোনীত প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো দলের কোনো প্রার্থীই তাদের কাছে আসেননি। মূলত, ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনটিতে দলীয় মনোনয়নে হ্যাটট্রিক করেছেন শরীফ আহমেদ।

জয় দিয়েও হ্যাটট্রিক করবেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এমনটায় ধারনা করছেন ফুল-তারার আমজনতা।একুশে পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) ভাষা সংগ্রামী সাবেক ৫ বারের এমপি মরহুম এম সামছুল হকের মেজু ছেলে শরীফ আহমেদই বর্তমানে এই নির্বাচনী এলাকার সর্বোচ্চ নেতা ও আওয়ামী রাজনীতির সর্বোচ্চ অভিভাবক। আসনটিতে তার বাবা পাঁচবার এবং শরীফ আহমেদ দুই বার বিজয়ের মধ্য দিয়ে আসনটি আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত হয়েছে।

এছাড়াও ফুলপুর তারাকান্দার অবিভক্ত আসনটিতে তার বাবা এক বার চেয়ারম্যান এবং শরীফ আহমেদ এক বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারী শরীফ আহমেদ এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং দ্বিতীয়বার গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের রূপকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ১ টি পৌরসভা ও ২০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ – (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসন।

গতকাল সোমবার জাতীয় দৈনিক ভোরের চেতনাকে তিনি বলেন, নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ জোয়ার কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত। জনগণ বুঝেশুনেই আমাকে ভোট দেবেন। কারও ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ বুঝে গেছেন, নৌকার জয় ছাড়া ফুলপুর-তারাকান্দার উন্নয়ন সম্ভব না। আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকার পক্ষে ভোট দিয়ে আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন তারা। সময়ের পরিক্রমায় দেশের বৈশ্বিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন এবং গাজা যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা স্বত্বেও বিদায়ী বছরের বাংলাদেশে অনেক যুগান্তকারী উন্নয়ন সূচিত হয়েছে। যা আগামী বছর দেশের অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ব্যাপক সহায়তা করবে। তাছাড়া আমি শরীফ আহমেদ এমপি ছাড়া এলাকার উন্নয়ন সম্ভব নয়, আমার ব্যপক উন্নয়ন এলাকায় দৃশ্যমান। আমার ব্যপক উন্নয়নই আমাকে নৌকার জয় সুনিশ্চিত করবে এমনটায় আমার আশা।

বাংলাদেশ গেজেটে বৃহস্পতিবার ডিসেম্বর ৭,২০২৩ ইং সালে প্রকাশিত নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ১৪৭ ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর -তারাকান্দা) আসনের মোট পৌরসভা ১ টি ও ২০ টি ইউনিয়ন মাঝে মোট ভোটার ৫লাখ ৪০ হাজার ৩শ ৪৫ জন। তার মাঝে পুরুষ ভোটর ২লাখ ৭৪ হাজার ৮শ ৮৭ জন। মহিলা ভোটার ২লাখ ৬৫ হাজার ৪শ৯৫ জন ও হিজড়া ভোটার ৩ জন। ফুলপুর-তারাকান্দা মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৪ টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ১০৭৫ টি।
তারাকান্দায় ভোট কেন্দ্র- ৮৪টি ও ফুলপুরে ৯০ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে।

এই আসনে ভোটের লড়াইয়ে যারা নির্বাচনে অংশ নেন, নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী শরীফ আহমেদ (নৌকা মার্কা), জাতীয় পার্টি মনোনীত এমপি প্রার্থী মোঃ এনায়েত হোসেন ( লাঙ্গল মার্কা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপির এমপি শাহ্ শহীদ সারোয়ার (ঈগল পাখি মার্কা), কৃষক শ্রমীক জনতালীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী মোঃ কামরুল হাসান( গামছা মার্কা), ইসলামী ঐক্য জোটের যুগ্মমহা সচিব মুফতী তৈয়্যেব হোসেন( মিনার মার্কা), জেপি মনোনীত এমপি প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আলা উদ্দিন (বাইসাইকেল মার্কা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মনোনীত এমপি প্রার্থী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (ছড়ি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণে আর বেশিদিন বাকি না থাকলেও লাঙ্গল, বাইসাইকেল, মিনার ,ঈগল ও ছড়ি মার্কার প্রচার-প্রচারণায় ঢিমেতালে থাকলেও নৌকার গণ জোয়ারের ভাসছে তারাকান্দা উপজেলার ১০ ইউনিয়ন।
সরেজমিনে দেখা যায়,ফুলপুর-তারাকানরদার আওতাধীন এলাকার অধিকাংশ জনগুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল সড়কেই ঝুলছে পোস্টারে। প্লাস্টিকের দড়িতে পোস্টার লাগিয়ে লম্বালম্বিভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে, রাস্তার একপাশ থেকে অপরপাশ পর্যন্ত। এসব পোস্টারের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শরীফ আহমদের পোস্টারই প্রায় ৯০ শতাংশ। তারাকান্দা উপজেলা ঘুরে অন্যকোনো প্রার্থীর পোস্টার তেমন দেখা যায়নি।
নৌকার পর প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহ্ শহীদ সারোয়ার ফুলপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার টানানোসহ তিনি অংশ নিয়েছেন গণসংযোগেও। ফুলপুরের মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শহরে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে এমন মন্তব্যও করেন অনেকে কিন্তু তৃণমূল তেমনটা লক্ষ্য করা যায় নি। ছোট খাটো দুই একটি সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ফুলপুরে ঘটলেও তারাকান্দা উপজেলার এই আসনে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সহিংসতা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি আমরা দেখিনি। শাহজাহান মাস্টার নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, রাস্তাঘাটে নৌকার প্রার্থীর গণসংযোগ এবং প্রচার-প্রচারণা ছাড়া অন্য কিছু চোখে পড়েনি। ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা ভোট চাইতে এসেছিলেন। অন্য কারো দেখা আমরা পাইনি।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে কোনো ধরনের অশান্তি তৈরি না হোক, তেমনটি প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের। নিজেদের অবস্থান নিয়ে যা বলছেন প্রার্থীরা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে প্রার্থীরা জনগণের কাছে যাওয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। গণসংযোগ ছাড়াও উঠান বৈঠক, পথসভায় মনোযোগ দিচ্ছেন তারা।
সবমিলিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী শরীফ আহমেদের নৌকা মার্কা গণজোয়ার জয় নিশ্চিত করার মত এমনটা মনে করছেন সাধারন মানুষ।।

 

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.