লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি,আহসান হাবিব রাজু ।গত দুই দিন ধরে ঘন কুয়াশায় আর কনকনে ঠান্ডায় লালমনিহাটের জনজীবন বিপর্যয়। এই ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে শিশু বৃদ্ধ ও নিম্নে মায়ের মানুষ। তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের মানুষেরা ঠান্ডা শুরু হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে।
ভোর থেকেই ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা। মহাসড়ক গুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টাও সূর্যের দেখা মেলেনি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। হার কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেননা নিম্ন আয়ের মানুষ। অনেকে খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক সেলসিয়াস। এখন থেকে প্রতিদিনেই তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, লালমনিহাটের বেশ কিছু এলাকায় খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। গত দুদিনের কনকনে শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছে না মানুষ। মহাসড়ক গুলোতে দেখা গেছে যানবাহন গুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে।
অপরদিকে খেটে খাওয়া মানুষ অনেকেই ঘরে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি কৃষকদের ভুট্টা, আলুর খেতে বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে।এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে।
লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতায় হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগী। শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ, শ্বাসকষ্ট নিউমোনিয়া ও ডায়ারিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভর্তি হতে দেখা গেছে। প্রতিদিন এই দুটি অসুখে আক্রান্ত হয়ে গড়ে ৮-১০ জন শিশু রোগী শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে।
ঘন কুয়াশা হওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে ফলে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।