বাংলাদেশ অটোরিক্সা, অটোটেম্পু হালকাযান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ গোলাম ফারুক এর বিবৃতি ।

 

আমিনুল ইসলাম আহাদ, কুমিল্লা।বাংলাদেশ অটোরিক্সা, অটোটেম্পু, হালকা যান ফেডারেশন বি ২১-৮১ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলম কুমিল্লা জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলে।

তিনি হঠাৎ অসুস্থ থাকার কারণে কুমিল্লা জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে অব্যাহতি নেন।  তারই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি সময়ে চকবাজারের একটি ঘটনায় আমার সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলম কে জড়িয়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে স্থানীয় ও জাতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নামে চাঁদাবাজির গডফাদার নামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি নিয়ে আমার সংগঠন বিব্রতকর হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আমার সংগঠন থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তদন্ত কমিটির সাথে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা তিনজন রিপোর্টার সহ ৬ সদস্যের কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করা হয়।
তদন্ত রিপোর্টে বেরিয়ে আসে গডফাদারকে?  এতে সিটি কর্পোরেশনের ইশারার নামে  চকবাজারে সিএনজি, অটো, মিশুকসহ বিভিন্ন পরিবহন থেকে টোল আদায় করেন মেসার্স সিয়াম ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম, অপরদিকে জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নিয়ে শাসনগাছা এলাকায় ইজারা আদায় করেন জাহের মিয়া,
কান্দিরপাড় এলাকায় সিএনজি সংগঠনের কল্যাণ আদায় করেন হাবিবুর রহমান হাবিব, কান্দিরপাড় শাখার পরিচালক, এই শাখার সাথে পরিচালনার জন্য আরো সাত সদস্য  যুক্ত রয়েছেন। ঈদগাহ সিএনজি স্ট্যান্ডে ৯৩৮ এর ব্যানারে জিবি আদায় করেন শ্রমিক কল্যাণ পরিষদ।

পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় পরিচালনা করেন ৫৫ ৫৭ এর মালিক সমিতির সেক্রেটারি আব্দুর রব। জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের ইজারার মাধ্যমে অটো রিক্সা, সিএনজিসহ সকল পরিবহন থেকে টোল আদায় করা হয়। টমচমব্রিজে অটোরিকশা মিশু মালিক কল্যাণ সমিতির নামে কল্যাণ আদায় করেন মোঃ বাবুল মিয়া। সিএনজি পরিচালনা করেন ১৫৬৯ এর কোষাধ্যক্ষ  কামাল, বর্তমান সেক্রেটারী কবির হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জুয়েল।

এ বিষয়ে কুমিল্লার সকল এলাকায় চাঁদাবাজের গডফাদার নামে সংবাদ প্রচারে মোহাম্মদ আলম মিয়ার কোন সম্পৃক্তা পাইনাই। তিনি  আমার সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হিসেবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী সম্মানী ভাতা ভোগ করতেন, এর বাহিরে কোন সুবিধা নিতেন না। সংগঠন শ্রমদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী আয় ব্যায় ও রির্টাণ অডিটের মাধ্যমে জমা হয়ে থাকে।

আমাদের তদন্ত টিম সরেজমিনে গিয়ে সকল ট্রেড লাইসেন্স, রশিদ ও ইজারার কপি আমাদের কাছে সংরক্ষণ হিসেবে জমা করেছেন।  কেহ চাইলেই আমাদের কাছ থেকে নিতে পারবেন।
যাহার অনুলিপি কুমিল্লা জেলা প্রেসক্লাব, সদর দক্ষিণ প্রেসক্লাব সহ প্রশাসনিক সকল দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।

তাই সকল সংবাদ কর্মী ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি মোহাম্মদ আলম আমার সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্বে আছেন, একটি চক্র শ্রমিক রাজনীতি হাসিল করার জন্য তাহার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।  এ হেন বানোয়াট সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ রইলো। তিনি বর্তমানে কুমিল্লা জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে বিদায় নিলেও আমার সংগঠন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে গুরু দায়িত্বে রয়েছেন।

নিবেদক, মোঃ গোলাম ফারুক, সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ অটোরিকশা,  অটোটেম্পু হালকাযান ফেডাররশন, বি ২১৮১

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.