জাকারিয়া আল ফয়সাল, স্টাফ রিপোর্টার ।বগুড়ার কাহালু উপজেলায় কিশোর সায়েল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ইজিবাইক ছিনতাই করার জন্যই তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় জড়িত এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার খয়রাপুকুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার এবং তার বসতবাড়ির পাশ থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর বিকালে কাহালুর কালাই ইউনিয়নের সুখানপাড়া গ্রামের কাউড়া কালিতলাগামী পাকা রাস্তার পাশে একটি খড়ের পালার ভিতর থেকে সায়েলের মুখ বিকৃত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পরপরই পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ছায়াতদন্ত শুরু করে।পিবিআই পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর জানান, গত ২১ ডিসেম্বর সকালে সায়েল আলী হাসানের গ্যারেজ থেকে একটি ইজিবাইক ভাড়া নেয়।
কিন্তু সারাদিন রাত অতিবাহিত হলেও সে ইজিবাইক নিয়ে ফিরে না আসায় সায়েলের মা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন এবং সায়েলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরও বন্ধ দেখায়। পরে সায়েলের মা বগুড়া সদর থানায় একটি জিডি (১৯২৬)
করেন। পরে কাহালুতে একটি খড়ের পালা থেকে মরদেহ উদ্ধার হলে সায়েলের মরদেহ শনাক্ত করেন তার মা।এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেপ্তার কিশোর সায়েল এর ইজিবাইক ভাড়া করে এবং তাঁকে হত্যার পর তার ব্যবহৃত ইজিবাইকটি ছিনতাই করে। পরে লাশ গুম করার জন্য খড়ের পালার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলমান আছে।