পবিত্র ওরস উপলক্ষে শাহ্ গাজী কালু চম্পাবতীর মাজার শরীফে দূর দূরন্ত থেকে লাখো ভক্তের আগমন।

৩৩

 

আল মামুন
জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ।

লাখো মুরীদান আষেকান ভক্তের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ঐতিহাসিক শাহ্ গাজী, কালু ও চম্পাবতীর মাজারে ওরস সম্পন্ন হয়েছে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ভাদ্র মাসের শেষ বৃহস্পতিবার (১৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩) এক দিনব্যাপী এ ওরস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কিন্তু এবার ৩-৪ দিন আগ থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ মাজার এলাকায় আগমন ঘটেছে লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষের,  মাজার এলাকায় মানুষের উপচে পড়া ভীড়, ভক্তদেও জিকির আসগর ও নাচ গানে মুখরিত মাজার প্রাঙ্গন, আইন শৃংখলা রক্ষায় রয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান, বারবাজার ফাড়ি ও হাইওয়ে পুলিশের সার্বক্ষনিক নজরদারী।
বারবাজারের ঐতিহাসিক গাজী কালু চম্পাবতির মাজারে প্রায় ৫০ বিঘা জমি জুড়ে মানুষের উপচে পড়া ভীড়, ভক্তদের জিকির, নাচ, গান চলে সারারাত। ওরসের দিন সকাল থেকে শুরু করে সারা রাত চলে ওরস। রাত যত বাড়তে থাকে দূর দূরান্ত থেকে নারী, পুরুষ, শিশু, কিশোর, বৃদ্ধদের আগমনে ততই ভীড় বাড়তে থাকে। দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়ে কোথাও পা রাখার স্থান পাওয়া যায় না ।
কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার বাদুরগাছা গ্রামে ঐতিহাসিক শাহ্ গাজী কালু চম্পাবতীর মাজার অবস্থিত। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে এক কিলোমিটর দূরে মাজারে পৌঁছাতে দর্শনার্থীদের ভীড়ের কারণে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। মাজার এলাকায় এসে ধর্মমত নির্বিশেষে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন সকল ধর্মের মানুষ।
বৃহস্পতিবার সারা মাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাজার প্রাঙ্গনে উপচে নারী-পুরুষের ভীড়, মাজার এলাকা জুড়ে বসেছে বিভিন্ন দোকান। মাইজ ভান্ডারী, গাজীর গান, কাউয়ালী, দেহতত্ব, হিজড়াদের নাচ-গান ও আশেকানদের জিকিরে এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে।

কোনো কোনো স্থানে আগরবাতী, মোমবাতী জ্বালিয়ে ভক্তদের জিকির ও প্রার্থণায় মগ্ন থাকতে দেখা যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, ওরসের কয়েকদিন আগে থেকেই পবিত্রতা রক্ষা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দুই হাজার যুবককে নিয়ে সেচ্ছাসেবক বাহিনী তৈরি করা হয়। প্রতি বছরই এলাকার ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পীর আওলীয়াদের এ মাজার আগত ভক্তদের কাছে পূর্ণভূমিতে পরিণত হয়েছে এই মাজারটি।
চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বারবাজারের এই বার আউলিয়ার পূর্ণভূমির সকল প্রচীন ঐহিত্য রক্ষা করতে সকলকে আন্তরিতকতার সাথে কাজ করার আহবান জানান এবং ইসলামি ঐতিহ্যের এই সকল অনুপম নিদর্শনগুলো সংষ্কার করে বারবাজারকে একটি পর্যটন নগরী গড়ে তুলতে সহলের সহযোগীতা কামনা করেন।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.