জেলো নামের অ্যাপে লগইন করে ‘খুলনা কন্ট্রোল’–এ ঢুকতেই মুঠোফোনটা ওয়াকিটকি হয়ে গেল! ঘরে বসেই জানতে পাচ্ছিলাম খুলনা মহানগরীর হালচাল। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে একেক দল স্বেচ্ছাসেবী একেক তথ্য দিয়ে যাচ্ছেন। কেউ সমস্যার কথা বলছেন, কেউ নিজেদের কাজের তথ্য দিচ্ছেন, কেউ চাচ্ছেন কাছাকাছি থাকা অন্য দলের সহায়তা। বাসায় বসেই এসব শুনছি। একজন বলে উঠলেন, ‘হ্যালো খুলনা কন্ট্রোল, সোনাডাঙ্গা মেট্রোপলিটন কলেজ রোডে তিনজনকে আটক করেছেন জনতা। গণধোলাই দিচ্ছেন। উদ্ধার করে থানায় দেওয়া দরকার। রেসকিউ টিম পাঠান।’
অন্য প্রান্ত থেকে একজন বলে ওঠেন, ‘ঠিক আছে আমরা কয়েকটা দল যাচ্ছি।’
কিছুক্ষণ পর আবার মুঠোফোনে বার্তা, ‘এখন কী অবস্থা।’
এ প্রাপ্ত থেকে আপডেট, ‘হ্যাঁ, তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে।’
এই ঘটনার সুরাহা হতেই খুলনার ময়ূরী আবাসিক এলাকায় এসে থমকে দাঁড়ান স্বেচ্ছাসেবীদের একটি দল। একটি বাড়ির ফটকে কারা যেন তালা ভাঙছেন। লোকগুলো কি ভেতরে ঢুকে সব লুট করবেন? প্রশ্নটা মাথায় উঁকি
দিতেই মুঠোফোন হাতে নেন দলের একজন। অ্যাপে ঢুকে বলেন, ‘খুলনা কন্ট্রোল, ময়ূরী আবাসিক এলাকার পাশে একটা বাড়ির গেটের তালা ভেঙে কারা যেন ভেতরে ঢুকেছেন। আমাদের আরও টিম দরকার।’
শিববাড়ি থেকে একজন বলে ওঠেন, ‘ঠিক আছে আপনারা একত্রিত হয়ে দেখেন, আমরা শিববাড়ি থেকে আসছি।’
আরেকটি দল থেকে জানানো হয়, ‘আমরা মেডিকেল কলেজ মোড় থেকে আসছি। আর নৌবাহিনীর একটা টহল গাড়ি সোনাডাঙ্গার কাছাকাছি আছে। নাম্বার ম্যাসেজ করেছি যোগাযোগ করেন, ফোন দেন।’
ময়ূরী আবাসিক এলাকার পাশে থাকা টিম কিছুক্ষণ পর জানায়, ‘এখন ক্লিয়ার…বাড়ির লোকজনই চাবি হারিয়ে যাওয়ায় তালা ভেঙে গাড়ি ভেতরে ঢুকিয়েছেন, বাড়ির মালিক বলছেন সমস্যা নেই।’
Login To Leave a Comment