ঘূর্ণিঝড় ইয়াস প্রতিরোধে ভোলায় প্রস্তুত ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র

মোঃ আওলাদ হোসেন,উপজেলা প্রতিনিধি, দৌলতখান: বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে যে কতগুলো উপকূলীয় জেলা রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ভোলা জেলা।আর সেই জন্যই ভোলায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলার জন্য জেলার সাত উপজেলায় ৭০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সিপিপিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন।

রোববার (২৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে ঘণ্টাব্যাপী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী।

তিনি বলেন, ৭০৯টি সাইক্লোন শেল্টার সেন্টারে প্রায় ৫ লাখ ৩৪ হাজার মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সবগুলো আশ্রয়কেন্দ্র ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এছাড়া মুজিব কিল্লাগুলোকেও প্রস্তুত রাখার জন্য বলা হয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় ৭৬টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। স্যালাইন ও ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, ভোলার ৩০টি চর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র নেয়ার জন্য ১৩ হাজার সিপিপি, আনসার, গ্রাম্য পুলিশ, স্কাউটসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত করা হয়েছে।

ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই-লাহী- চৌধুরী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম আজাদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহ, মৎস্য কর্মকর্তা এস.এম আজহারুল ইসলাম, ভোলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক আব্দুল রশিদ, ভোলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ অপু, জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মো. আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।

50% LikesVS
50% Dislikes
ইয়াশঘুর্নিঝর
Comments (০)
Add Comment