আব্দুল ওহাব:
খামার থেকে বাজারে আসতেই দাম প্রায় ডাবল হয়ে যা
ডিমের বাজার আবারো উর্ধ্বমুখী। খামার থেকে বাজারে আসতেই দাম প্রায় ডাবল হয়ে যায়। এবার সপ্তাহ ব্যবধানে ডজনে বেড়েছে ২০ টাকা। ডিমের সংকট বলে অযুহাত দেখাচ্ছেন বিক্রেতারা। মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে বলে দাবী করছেন খামারিরা।
জানা যায়, বর্তমানে খুচরা ১৬৫-১৭০ টাকা ডজন কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। এতে ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিক্রেতাদের রয়েছে নানা অজুহাত।
সাধারণ জনগন এবং ক্রেতারা বলেন বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। তারা বলছে, এক মাসে দাম বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
মাস খানেক আগে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়া ৫০ টাকা হালি ডিমের দাম বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে লাগামে আনলেও এখন আবার কয়েকদিন ধরে ডিমের বাজার লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে। যদিও ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে গত বৃহস্পতিবার মাঠে নেমেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের লোকজন।
এক ডিম ব্যবসায়ী বলেন, এখন আর আগের মতো ডিম সরবরাহ নেই। গত ৫-৬ দিন যাবত ডিমের দাম বাড়ছে। খাদ্যের দামবেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারি তাদের খামার বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কমে গেছে। আর বাজারে দাম বেড়ে গেছে।
আরেক জন ডিম ব্যবসায়ী বলেন, এসপ্তাহে প্রতি ডজন সাদা ডিম ১৬০ টাকা ও লাল ডিম ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি করছি। যা গত সপ্তাহে ১৫০-১৫৫ টাকায় বিক্রি করতাম।
খামারিরা জানায়, দফায় দফায় পোল্ট্রি ফিডের দাম বৃদ্ধি ও খামার কমে যাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী যোগান দেওয়া যাচ্ছে না। খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। আগে গ্রামে ৬০-৭০ টি খামার থাকলেও এখন রয়েছে মাত্র ৪০টি খামার। তাই উৎপাদন কম হওয়ায় কারণে ডিমের দাম বেড়েছে।