মাদারীপুরে রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণ অবরুদ্ধ ১৬ পরিবার।

 

সাইফুল ইসলাম ,মাদারীপুর প্রতিনিধি।মাদারীপুরের কালকিনি পৌর শহরের চর ঝাউতলা গ্রামে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করায় ১৬টি পরিবার অবরুদ্ধের অভিযোগ উঠেছে কালকিনি বালিকা দাখিল মাদরাসা কর্তৃকপক্ষের বিরুদ্ধে। রাস্তাটি বন্ধ করায় অবরুদ্ধ প্রায় এক সপ্তাহ যাবত পরিবারের প্রায় অর্ধশত মানুষ ।

এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালকিনি বালিকা দাখিল মাদরাসার কর্তৃপক্ষ দক্ষিণ পাশের পরিবারের সুবিধামত দেয়াল নিমার্ণ করে দিলেও উত্তর পাশে১৬টি পরিবারের শতাধিক লোকজন পরেছে চরম দুর্ভোগে ১৬ টি পরিবারের বাড়ি থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তা কালকিনি বালিকা দাখিল মাদরাসার মাঠ। মাদরাসা প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই ওই জায়গা দিয়ে চলাচল করতেন তারা। ১৫ ফুট প্রশস্ত রাস্তা দিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে চলাচল করছেন ১৬টি পরিবারের লোকজন। কিন্তু গত রবিবার হঠাৎ করে অজানা কারণে দেয়াল দিয়ে রাস্তাটি বন্ধ করে দেন মাদরাসা কর্তৃকপক্ষ। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে ১৬টি পরিবার। বাধ্য হয়ে তারা অন্য বাড়ির পেছনের বাগান দিয়ে চলাফেরা করছেন।বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় ১৬টি পরিবারের সদস্যদের চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে চরম দুর্ভোগ ।

অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য রোকসোনা খানম সহ পরিবারের একাধিক সদস্যরা বলেন, ‘১৬টি পরিবারের সদস্যরা কালকিনি শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সে কারণে সবাই এখানে জমি কিনে বসবাস করছেন। সবাই শান্তিপ্রিয় মানুষ।আমরা এখন শুধু একটু চলাচলের রাস্তা চাই।

এ ব্যাপারে কালকিনি বালিকা দাখিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল – আবু মুসা বলেন, দেয়াল দেওয়ার বিষয়টি স্হানীয় এমপির সাথে পরামর্শ করেই করা হয়েছে।

কালকিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান বলেন, দেয়াল নিমার্ণের বিষয়ে আমার জানা নেই। দেয়াল দেওয়াতে যদি কোন পরিবারের ক্ষতি হয়ে থাকে তাহলে আমি মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের সাথে কথাবার্তা বলি দেখে এটার সমাধান করা যায় কিনা।

স্হানীয় এমপি অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী বলেন, যেহেতু এটি একটি মহিলা মাদ্রাসা তাই মাদ্রাসা নিরাপত্তার জন্য মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দেয়াল নির্মাণ করেছে। যখন এ পাশের লোকজনেরা বাড়ি ঘর নির্মাণ করেছে তখন তারা চলাচলের রাস্তা না রেখেই বাড়িঘর নির্মাণ করেছে। এখন তাদের বের হতে হলে তাদের নিজেদের এই রাস্তা তৈরি করে বের হতে হবে।

 

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.