বোরহানউদ্দিনে পুলিশ পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে মুক্তিপনের দাবি

৩৮

এইচ এ শরীফ:

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ৩ নং ওয়ার্ডে ভোটার আইডি কার্ড’কে কেন্দ্র করে মোঃ রাসেল(২৩), রাফেজ(১৭) ও সাগরসহ তিনজন’কে পুলিশ পরিচয় দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে মুক্তিপনের দাবি।

সাগরের আম্মা নাজমা বেগম জানান-প্রায় এক,দেড়মাস আগে মা গার্মেন্টস এর মালিক মোসলোউদ্দিন’কে আমার ছেলে সাগরের জন্য ১টি ভোটার আইডি কার্ড করতে গেলে (চার হাজার,পাঁচ শত টাকা) নেয়।

আজ কাল দিবে বলে বলে কয়েকদিন যাবত ঘুরাঘুরি করতেছে, গতকাল আনুমানিক ১২ টার দিকে আমার বাসুরের ছেলে রাফেজ’কে নিয়ে টবগী রাস্তারমাথা মা গার্মেন্টস এর মালিক মোসলোউদ্দিন এর কাছে গেলে ভোটার আইডির কথা বললেই বার বার আসেন কেন বলে আমার ওপর রাগান্বিত হয়ে যায়, আমার বাসুরের ছেলে রাফেজ’কে বলে তুই দোকানে থেকে এখনই বের হয়, তোকে মারমু এই বলেই রড নেয় মারতে।

আশেপাশের ব্যবসায়ীরা ডাক চিৎকার শুনে দোকানের ভিতর জড়ো হয়। পরে বাজারের সভাপতি এসে উভয়’কে বুজিয়ে শুনিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে বিকালে বসবে বলে জানায়।

কিছুক্ষণ পরে মোসলোউদ্দিন আমাকে কল করে বলে আপনার ছেলে সাগর’কে পাঠান তাকে নিয়ে আমি নির্বাচন অফিসে যাবো, আমার ছেলে সাগরকে নিয়ে রাস্তার মাথায় মোসলোউদ্দিনের কাছে এলেই কথার কাটাকাটির একপর্যায়ে সে আমার ছেলে সাগরের মাথায় ও হাতে এলোপাতাড়ি মাইরধর করতে থাকে আমি ছাড়াতে গেলে আমাকেও টানাহেঁচড়া করে।
পরে আমি দ্রুত আমার ছেলেকে নিয়ে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করি।

মোঃ রাফেজ গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান – আমি আর আমার ভাই রাসেল ঘরের বাজার করতে কুঞ্জেরহাট বাজারের উদ্দেশ্য রওনা হলে পথিমধ্যে বটতলা থেকে ৮/১০ জন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে অটো-রিক্সা থেকে আমাদেরকে নামিয়ে অন্য একটি বোরাকে উঠিয়ে গ্যাসফিল্ডের একটি নিরিবিলি জায়গায় নামিয়ে বাগানের ভিতর নিয়ে বেদড়ম কিল,ঘুসি মারে আর বলে এখন চিৎকার করেও কোন লাভ হবে না, ডাক তোর বাবাদের।

আবার বলে তোর মাকে ফোন দিয়ে বল ২ লাখ টাকা নিয়ে আসলে তোদের ছেড়ে দিবো। আমি মাকে ফোন করে বললে মা জাকির হাওলাদার ও কবির হাওলাদারকে জানায়, তারা মোসলোউদ্দিনের ফোনে কল দিলে বলে তোরা এখন কোথায়। জাকির হাওলাদারকে মোসলোউদ্দিন বলে রাসেল ও রাফেজকে পুলিশে নিয়ে গেছে, তখন আমরা গ্যাসফিল্ডের রোডে। জাকির হাওলাদার ও কবির হাওলাদার বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে আমাদেরকে না পেয়ে মোসলোউদ্দিনকে আবার ফোন করলে বলে আমরা বোরহানগঞ্জে আছি। আমাদের দুই ভাইকে এখানে ছেড়ে দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

এই ব্যাপারে জাকির হাওলাদার জানান- আমাকে ফোনে রাফেজ এর আম্মায় কল করে বলে কে বা কারা জানি আমার ছেলেকে কুঞ্জেরহাট আটক রেখে ২ লাখ টাকা দাবী করছে।
আপনি একটু দেখেন, আমি ও কবির হাওলাদার সেখানে গিয়ে তাদেরকে না পেয়ে ঔ নাম্বারে কল দিলে রাফেজ ও রাসেলের বিষয় জানতে চাইলে মোসলোউদ্দিন বলে তাদেরকে পুলিশ নিয়ে গেছে, এ কথা শুনে আমি তাৎক্ষনিক বোরহানউদ্দিন থানায় যাই। সেইখানে না পেয়ে মোসলোউদ্দিনকে আবার ফোন করি সে ফোন রিসিভ করেননি। বোরহানগঞ্জ এলে রাফেজ ও রাসেলকে বাজারে একটি দোকানে দেখতে পাই, সেখান থেকে দ্রুত বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই।

সাংবাদিকরা ভুক্তভোগীদের কাছে থানায় অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা মামরার প্রস্তুতি নিতেছি।

এই বিষয় বোরহানউদ্দিন অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনির হোসেন মিয়া জানান অভিযোগ পেলে নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইন-আনুক ব্যবস্থা নিব।

100% LikesVS
0% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.