রোকনুজ্জামান, ঢাকা।বাংলাদেশে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য চাকুরীর বাজার চরম তলানিতে। প্রতিবছর বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি, এবং প্রাইভেটের মতো বড় বড় নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী বের হচ্ছেন। কিন্তু, দেশে কর্মমুখী শিক্ষা না থাকার কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করে দেশে তেমন কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন না।
ফলে দেশের এই লাখ লাখ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা গাণিতিক হারে বেড়েই চলেছে। এতে শিক্ষিত বেকারদের মাঝে হতাশা বেড়েই চলেছে এবং সরকারি চাকুরির বয়স পার করা জনগোষ্ঠীর মাঝেও এর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। এর জন্য যুবসমাজ চরম বেপরোয়া ও বিপথগামী হচ্ছে। এই সকল বেকার কর্মপ্রত্যাশী জনগোষ্ঠীকে সুন্দর একটি ট্রেনিং এর মাধ্যমে তাদের বেকারত্ব দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে ” এস আই টি মেডিকেল টেকনোলজি এন্ড ডেন্টাল কলেজ”। কলেজটির সরকারি নিবন্ধন নম্বর ৩৩৯১
কোর্সটি হচ্ছে ” প্রাইমারি হেলথ ট্রেনিং কোর্স “।
লাইফ লাইন ইউথ এন্ড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের তত্বাবধানে ৬ মাস মেয়াদী এই কোর্সটিতে শেখানো হয় ” হিউম্যান এনাটমী এবং ফিজিওলজী এবং বিভিন্ন প্রাইমারি স্বাস্থ্য সেবা। এর মধ্যে বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাক রোগীর কে সিপিআর (CPR) কখন কিভাবে দিতে হবে, ইনজেকশন পুশিং, ড্রেসিং, পানিতে ডোবা, আগুনে পোড়া সহ বিভিন্ন সমস্যা গ্রস্থ রোগীকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা কিভাবে দেওয়া যায় ।
এই কোর্স সম্পর্কে জানতে চাইলে কোর্সের চীফ ট্রেইনার ও কোর্স কো-অর্ডিনেটর ডা: মোঃ শফিকুল ইসলাম জুয়েল স্যার তিনি আমাকে বলেন, এই কোর্সের অর্থাৎ প্রাইমারী হেলথ ট্রেনিং কোর্সের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে ” লোকাল মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ফ্যামিলি প্লানিং ” সম্পর্কে প্রাথমিক ভাবে সচেতন করা। যার ফলে এই সকল কোর্স ধারীরা প্রশিক্ষিত হয়ে তাদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যেমনভাবে সেবা দিয়ে সুস্থ রাখতে পারবেন ঠিক তেমনি ভাবে তার আশেপাশের সকল জনগোষ্ঠীকে প্রাইমারি স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে অসংখ্য রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সহায়তা করতে পারবেন। এছাড়া ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতেও এই কোর্স ব্যপক ভূমিকা রাখবে।
উপস্থিত শিক্ষার্থীগন দীর্ঘ ৬ মাসের ক্লাস খুব দায়িত্বের সাথে প্রতিটি ক্লাস সফলভাবে শেষ করে আজ ০৯/০২/২০২৪ ইং শুক্রবার সকাল ৯.০০ ঘটিকায় উত্তরায় অনুষ্ঠিত বোর্ড পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ করেন।