নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির শোকজের জবাব দিলেন খাদ্যমন্ত্রী।

১৭

 

মোঃ সাইদুল ইসলাম হেলাল,ব্যুরো প্রধান রাজশাহী ।১৭ ডিসেম্বর বিকেলে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি নওগাঁ-১-এর অস্থায়ী কার্যালয় নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাপাহার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের এজলাসে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও জয়পুরহাটের সহকারী জজ ইফতেখার শাহরিয়ার এর পাঠানো চিঠির লিখিত জবাবে বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন এবং শ্রদ্ধা রয়েছে। আমার অজ্ঞাতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হলে আমি দু:খিত। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে আমি সতৰ্ক আছি ভবিষ্যতে আরও বেশি সতর্ক থাকবো।

তিনি লিখিত জবাবে আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৬ নওগাঁ -১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। গত ৪/১২/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক আমাকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। মনোনয়ন পত্র গৃহীত হওয়ায় ৪/১২/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ বিকালে আমি আমার নির্বাচনী এলাকা সাপাহারে আওয়ামী লীগের নতুন পার্টি অফিসের উদ্বোধন ও দোয়া অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথিমধ্যে পোরশা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আবেগপ্রবণ হয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে আমাকে শুভেচ্ছা জানায় এবং সরাইগাছি দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যায়। দলীয় কার্যালয়টি পরিসরে খুবই ছোট হওয়ায় নেতাকর্মীদের স্থান সংকুলানে অসুবিধা হলে সরাইগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উপস্থিত হন এবং আমাকেও সেখানেই নিয়ে যায়। এটা কোন পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ছিলো না।

তবে নির্বাচনী আচরণ বিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেলক্ষ্যে আমি উপস্থিত নেতাকর্মীদের আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার গুরুত্ব সম্পর্কে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নির্দেশনা অবহিত করি।

পাশাপাশি আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে স্থান ত্যাগ করে সাপাহারের উদ্দেশ্যে রওনা হই। সেখানে কোন ব্যানার-ফেস্টুন কিংবা শব্দযন্ত্র মাইক ব্যবহার করা হয়নি। বস্তুত, সেখানে কোন সমাবেশের আয়োজন ছিলনা।

উল্লেখ্য যে, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নির্বাচনী আচরণ বিধি নিয়ে বৈঠক করা যাবে না মর্মে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী সংশ্লিষ্টদের সাথে দলীয় বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করেই দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে দোয়া অনুষ্ঠানের জন্য সাপাহার গমণ করি।

আমার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগকারী জনাব খালেকুজ্জামান (সতন্ত্র প্রার্থী ) এর মনোনয়নপত্র নানা অসঙ্গতির কারণে রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক বাতিল হওয়ায় সংক্ষুব্ধ হয়ে আমার সুনামহানির জন্য তিনি এ অভিযোগ দিয়েছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। আমি তৃণমূল পর্যায় থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পরপর তিনবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে আসছি। ইতোপূর্বেও নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনের কোন ঘটনা কখনোই ঘটেনি। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন এবং শ্রদ্ধা রয়েছে।

আমার অজ্ঞাতে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হলে আমি দু:খিত। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রতিপালনে আমি সতৰ্ক আছি ভবিষ্যতে আরও বেশি সতর্ক থাকবো।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও জয়পুরহাটের সহকারী জজ ইফতেখার শাহরিয়ার বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠায় নওগাঁ-১ (নিয়ামতপুর, পোরশা ও সাপাহার) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের নিকট ব্যাখ্যা তলব করেছিলাম। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের লিখিত জবাবে আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের নির্বাচনী অনুসন্ধান চলমান থাকবে এবং অভিযোগকারীকে ডেকে নিয়ে এই বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হবে।

50% LikesVS
50% Dislikes
Leave A Reply

Your email address will not be published.